
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি- জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. জাহিদুল হক -৩২-, মো. রবিউল ইসলাম –২৫- ও মো. মোশারফ হোসেন -৩৩- নামে আন্ত:জেলা অটোরিকশা চোরচক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এর সাথে ডিবি তিনটি চোরাই অটো রিকশা উদ্ধার করছে।
সোমবার-১৯ মে- বিকেল ৪:৩০ মিনিটে এই তথ্য একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত জাহিদুল হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে, রবিউল কালীগঞ্জ উপজেলার লতাবর কানিপাড়া -১নং ওয়ার্ড- এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের ছেলে ও মোশারফ একই উপজেলার গোড়ল ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত ছফর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রবিবার কালীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার বাদীর কাছে তদন্ত কর্মকর্তা-আইও- জানতে পারেন যে, বাদীর ছেলে একজন অটোরিকশা চালক। তার ছেলে গত ৭ এপ্রিল তারিখ বিকেল আনুমানিক ৫:৩০ মিনিটে কালীগঞ্জের সুকানদিঘী ইজিবাইক স্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় দুইজন অপরিচিত যাত্রী নিয়ে চন্দ্রপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বারাজান মালিরধামে তার অটোরিকশার চাকা পাংচার হয়। তখন ওই দুই যাত্রী তাকে সুকানদিঘী গিয়ে চাকা ঠিক করে আসতে বলেন। তিনি সেখানে গিয়ে ফিরে এসে তার ছেলে পুনরায় সেই যাত্রীদের নিয়ে চন্দপুরের দিকে যাত্রা করে রাত আনুমানিক ৮টায় চন্দ্রপুর বাজারে পৌঁছান। তখন সেই দুই যাত্রীর একজন তার ছেলেকে চা পান করাতে একটি দোকানে নিয়ে যান। সে সময় অটোরিকশায় থাকা অপরিচিত অপর যাত্রী সুকৌশলে তার ছেলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার ছেলে তাকে জানালে তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও অটোরিকশাটি না পেয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর আইও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে চোরদের অবস্থান নিশ্চিত হন। এরপর আইও ও ডিবির একটি দল পৃথক অভিযানে আন্ত:জেলা অটোরিকশা চোরচক্রের উল্লিখিত সদস্যদের গ্রেপ্তার করেন ও তিনটি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করেন।
পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।