
নিউজ ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের প্রধান সড়ক এখন গ্রামবাসীর জন্য দুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সময়ের ব্যস্ত এই রাস্তা বর্তমানে ভাঙাচোরা, কাদা ও জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়ে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কয়েক বছর ধরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বৃষ্টির সময় রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে থাকে, আর শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতে পথচারীরা নাকাল হয়ে পড়েন।
স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, “প্রতিদিন কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। বৃষ্টির দিনে হেঁটে পার হওয়াও কষ্টকর, অনেক সময় পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছি।”
কৃষকরা জানান, বাজারে পণ্য আনা–নেওয়া করতে গিয়ে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। “রাস্তায় ট্রলি বা রিকশা উঠানো যায় না, কাদায় চাকা আটকে যায়,” বলেন স্থানীয় কৃষক হাবিবুল্লাহ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন তারা আর সাড়া দেন না। এমনকি উপজেলা প্রকৌশল অফিসেও একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো বাস্তব উদ্যোগ দেখা যায়নি।
স্থানীয় প্রবীণ নাগরিক আব্দুল সাত্তার বলেন, “রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাতে জানাতে আমরা ক্লান্ত। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুধু আশ্বাসই মিলছে, কাজের দেখা মিলছে না।”
সড়কটি দিগদাইড় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ হওয়ায় এটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ চলাচল করেন। ফলে শুধু লক্ষীপুর নয়, আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষও এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।
ভুক্তভোগীরা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করবেন, যাতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায় লক্ষীপুরবাসী।
গ্রামীণ উন্নয়নের সবচেয়ে বড় ভিত্তি হলো চলাচলের সহজ পথ। অথচ লক্ষীপুরের এই রাস্তা আজ যেন অবহেলার প্রতীক। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগই এখন এলাকাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা ।