
নাঈম ভূঁইয়া রায়পুরা প্রতিনিধি নরসিংদী,
অদ্য ইং ২১/০৭/২০২৫ তারিখ ভোররাত হতে রায়পুরা থানাধীন শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ এলাকায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে আলোচিত হানিফ মাস্টার গ্রুপ এবং এরশাদ গ্রুপ এর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় মোমেনা বেগম (৪৫), স্বামী-আক্তার হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণসহ আরো ০৩(তিন) জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাব এর সমন্বয়ে এই ঘটনাসহ এই এলাকার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সাড়াঁশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে রায়পুরা থানাধীন শ্রীনগর বাজারঘাট থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনা নদী থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল মিয়া (৩৭), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, সাং-শ্রীনগর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদীকে গ্রেফতার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ১। ০১ (এক) টি এসবিবিএল একনালা বন্ধুক, ২। ০৪ (চার) টি একনালা দেশীয় তৈরী বন্ধুক, ৩। ০২ (দুই) টি সিলভার কালারের ম্যাগজিন, ৪। ৩০ (ত্রিশ) রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৫। ০৪ (চার) রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৬। ১২ (বার) টি শর্টগানের শীসা কাতুর্জ, ৭। ০২(দুই) টি symphony বাটন ফোন, ০১(এক)টি oppo এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৮। ১,৫৫০/-(এক হাজার পাঁচশত পঞ্চাশ) টাকা, এক ইউএস ডলার, ৯। ০১(এক)টি পালসার মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন ৫৬ ইবি, নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের মেজর ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ আসাদ, পুলিশের নেতৃত্ব দেন বায়েজিদ বিন মনসুর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, রায়পুরা সার্কেল, নরসিংদী এবং র্যাব এর নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা, পিপিএম-সেবা, ক্যাম্প কমান্ডার, নরসিংদী র্যাব ক্যাম্প।
উল্লেখ্য যে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল মিয়া (৩৭) এর বিরুদ্ধে ০৩ টি হত্যা মামলা, ০২ টি অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের নজরধারী অব্যাহত আছে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।