
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন হাঁট বাজার বাসস্ট্যান্ড,সিএনজি স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থান ইজারায় ব্যাপক আকারে রাজস্ব ধস দেখা দিয়েছে। ফলে পৌরসভার উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে হাঁট-বাজার ও স্ট্যান্ড ইজারা বাবদ গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে পৌরসভা হিসাব রক্ষন অফিস সূত্রে জানা গেছে। যা নিয়ে ব্যাপক হতাশা প্রকাশ করেছেন পৌর এলাকার সচেতন নাগরিকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলা ১৪৩২ সাল -ইংরেজি ২০২৫-২৬ অর্থবছর- এক বছরের জন্য ইজারা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ টাকা। অথচ গত বছর বাংলা ১৪৩১ সালে -২০২৪-২৫ অর্থবছর- আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা।
এই বিপুল পার্থক্যের বিষয়ে সচেতন মহল হতাশা জানিয়ে বলেন, পৌরসভার জন্য এটি অশনিসঙ্কেত। তাঁরা দ্রুত এ অবস্থার কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
তবে পৌর কর্তৃপক্ষ ও বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্ব দাবি করেছেন, ইজারা ডাক সম্পূর্ণরূপে বিধি মোতাবেক, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কোনো প্রকার সমঝোতা ছাড়াই তা সম্পন্ন হয়।
এদিকে পৌরবাসী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, মাওলানা সানাউল্লাহ ও ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এবারের গরুর হাটের ইজারা হয়েছে ২৪ লাখ টাকা, যেখানে গত বছর তা ছিল ৩২ লাখ টাকা। এভাবে অন্যান্য হাট-বাজারেও উল্লেখযোগ্য হারে ইজারা মূল্য কমে গেছে বলে তাঁদের অভিমত।
পৌরসভার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরে মাছ বাজার ও কাঁচা বাজার ইজারার আওতায় আনা হয়নি, যা রাজস্ব আদায়ের পরিমাণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। তবে পৌর প্রশাসক সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ জানিয়েছেন, মাছ ও কাঁচা বাজারের ইজারা ডাক পরবর্তীতে দেওয়া হবে।
রাজস্ব আদায়ের এ বিপর্যয় নিয়ে সাধারণ নাগরিক ও প্রশাসনের মধ্যে যে বৈপরীত্য রয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সমাধান জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনরা।