
মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার
রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যর মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিপ্লবী গার্মেন্স শ্রমিক ফেডারেশন।
শনিবার -২২ফেব্রুয়ারি- দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়া ডিইপিজেড ফুড ভিলেজে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রমজান আগ মুহূর্তে সকল পণ্যসামগ্রী মূল্য বৃদ্ধি করে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,সরকারের কাছে দাবী আসলেই সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা আসে দাম কমাতে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে, তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবছর রমজান সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, চাল, ডাল, খেজুর, ফল সামগ্রীর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে।
দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীর একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।
ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যদি ঘটে তাহলে গরীব নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রমিকশ্রেণী মানুষে এসকল পণ্যসামগ্রী ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বাংলাদেশের ৩ ভাগের মধ্যে ২ ভাগেই স্বল্প আয়ের মানুষ বটে। ফলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে দেয়। নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত, শ্রমিকশ্রেনীপেশার মানুষের কথা তাঁরা চিন্তা করে দেখছে না। একবার যে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয় তা আর হ্রাস পায় না।
এটাই এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা একান্ত কাম্য কেননা ২৪ শে জুলাই গনঅভুত্থানে মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশের মানুষ কোনো কষ্ট নিয়ে জীবন যাপন করবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে সরকারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে। তাই সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে হবে সেক্ষেত্রে ব্যাবসায়ীদের আলাপ আলোচনা করে সুষ্ঠ সমাধান বের করতে হবে সরকারের।এমনকি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা এবং ব্যবসায়ীদের বেশী বেশী গোয়েন্দা নজরদাড়ি রাখা দরকার। তারপরও যদি কোনো অসাধু মুনাফাখোর ব্যাবসায়ী বাড়তি পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে তাহাদেরকে জরিমানা না করে বিষেশ মেজিস্ট্রি ক্ষমতার মধ্য দিয়ে জেল দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, রমজান ঈদ ছুটি পূর্ব মুহূর্তে কিছু অসাধু পোশাক শিল্পের মালিকেরা শ্রমিকের বেতন ভাতা নিয়ে তালবাহানা শুরু করে। অনেক সময় দেখা যায়, পোশার শ্রমিকের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয় এমন কি মালিকের বাড়ি ঘেরাও পর্যন্ত করেন শ্রমিকরা।
এবার ২৪ শে গণঅভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশে ছাত্র শ্রমিক জনতার। আমরা বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন পক্ষ থেকে দাবী জানাই অন্তর্বীকালীন সরকারের কাছে যাতে করে বাজার সিন্ডিকেট কোনো প্রকার বেআইনি ভাবে মুনাফা না করতে পারে; এ ব্যাপারে সরকার আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নেবেন। সরকারের শ্রম উপদেষ্টা নিকট দাবি পোশাক শিল্প শ্রমিকের প্রতি সদয় দৃষ্টি রাখবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী গার্মেন্স শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন মন্ডল,সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ,দপ্তর সপাদক রুহুল আমীন মনির, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাকিলা আক্তার শান্তা, প্রচার সম্পাদক সাগর হোসেন প্রমুখ।