
মাজিদ আল মামুন, স্টাফ রিপোর্টার
মেহেরপুরে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় ফলের দোকান, যেখান থেকে ক্রেতারা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফল ক্রয় করে থাকেন। এসব দোকানগুলোতে ঝুলতে দেখা যায় আঙুর আর সাজানো রয়েছে কমলা, আপেল, বেদানা, খেজুর ও তরমুজসহ নানা রকমের ফল।
তবে মাহে রমাদানেও বাজার দরে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেচাকেনা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর পিস হিসাবে বেচাকেনা হচ্ছে আকারভেদে প্রতিটা ৩’শ থেকে ৫’শ টাকার মধ্যে। মাল্টা, কমলা ও আনারসের দামও কিছুটা কমতির দিকে। তবে বৃদ্ধি পেয়েছে বেদানা ও আঙ্গুরের দাম।
মঙ্গলবার -১১ মার্চ- সকাল থেকে বিকেল অবধি মেহেরপুর জেলা শহরের হোটেল বাজার, কালিবাজার, কোর্ট রোড, মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজার, গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড বাজার, হাসপাতাল বাজার, আমঝুপি বাজার, বামুন্দী বাজার, জোড়পুকুরিয়া, কাজীপুর গোলাম বাজার ও নওপাড়াসহ বেশ কিছু হাট বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এসব বাজারে আপেল বেচাকেনা হচ্ছে ৩’শ থেকে ৩’শ ৩০ টাকা কেজি দরে, চায়না কমলা ৩’শ ৩০ থেকে ৩’শ ৪০ টাকা, সবুজ আঙ্গুর ৩’শ ৮০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৫’শ টাকা, কমদামি লুজ খেজুর বেচা কেনা হচ্ছে ২’শ টাকা, মধ্যম দামের ৪’শ ৮০ টাকা এবং ভালো খেজুর বেচাকেনা হচ্ছে ১হাজার ৩’শ ৮০ টাকা দরে। ডালিম ও বেদানা বেচা কেনা হচ্ছে ৫’শ থেকে ৫’শ ৫০ টাকা কেজি দরে। পেয়ারা বেচাকেনা হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে, বেল প্রতি পিস ৪০ থেকে ৭০ টাকা, কলা প্রতি হালি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ১০ থেকে ৩০ টাকা, তেঁতুলের কেজি ৩’শ টাকা, কামরাঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরই ৬০ টাকা, নারিকেল প্রতি পিস ১’শ ২০ টাকা থেকে ১’শ ৪০ টাকা এবং স্ট্রবেরি বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা দরে।
তবে মাহে রমাদনে ফলের চাহিদা বাড়লেও দাম না কমায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আমদানি কম এবং পরিবহন খরচের কারণে দাম কমছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তাছাড়া কিছু ফলের দাম বৃদ্ধি হলেও তাদের লাভ কম হচ্ছে। কারণ ক্রেতারা বেশি দামে ফল কিনতে আগ্রহী না। অনেক ক্রেতা আবার বহু দোকান ঘুরে ঘুরে দামদর করে ফল কিনে থাকেন।
গাংনী বাজারে ফুটপাতের ফল ব্যবসায়ীরা জানান, রমাদান এলেও ফলের বেচাকেনা আশানুরূপ হচ্ছে না। প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকার ফল বেচাকেনা হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে বেচাকেনা হচ্ছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার।
ব্যবসায়ীরা জানান কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তিনারা ফল ক্রয় করে থাকেন। সেখানকার ব্যবসায়ীরাও অনেক সময় ফল দিয়ে যায়। তাছাড়া মেহেরপুর জেলায় উৎপাদিত কিছু ফল স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে কিনে এনে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। এক্ষেত্রে তাদের চাওয়া দাম অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের ফল কিনতে হয়। এতে করে অধিকাংশ সময় বেশি দামেই এসব ফল কিনতে হয় এবং তা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ভারত থেকেও গত ২-৩ দিন ধরে ফল আসেনি একারণেও বাজারে প্রভাব পড়েছে। যাদের পূর্বে কেনা রয়েছে তারা পূর্বের দামেই বেচাকেনা করছে। আর যারা নতুনভাবে কিনছেন তারা একটু চওড়া দামে বেচাকেনা করছেন। তবে ক্রেতারা যাতে করে রমজানে কম দামে ফল কিনতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ব্যবসায়ীরা বেচাবিক্রি করে থাকেন বলে জানান।
এদিকে ব্যবসায়ীরা ফল বেশি দামে কিনছেন নাকি কারসাজি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন এটা তদারকি করা দরকার বলে অনেক ক্রেতা সাধারণ জানান।