সাব্বির হাসান
স্টাফ রিপোর্টার -যশোর।।
যশোরের মণিরামপুরে টানা তিন বার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিতর্কিত আ”লীগের দীর্ঘ শাসনামলেও ক্লিন ইমেজে থেকে এখনো জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বৃহত্তর মণিরামপুর উপজেলার ৬নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নিস্তার ফারুক।
অবশ্য গেল বছরের সেপ্টেম্বরে আচরনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে যশোর জেলা কমিটি হতে বহিষ্কারাদেশ পেয়েছিলেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক এই ছাত্রনেতা।পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিএনপির জেলা কমিটি তদন্তে এসে নিস্তার ফারুকের পক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
ছাত্রদল,যুবদল সহ বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংকটময় সময়েও ছিলেন সর্বত্র জনকল্যানকর হিসাবে। দলগত ভাবে নিজেকে শপেছেন সামনে থেকে। আ”লীগের অনেক অত্যাচারকে রুখে দিয়ে দলের কান্ডারী হয়ে দাড়িয়েছেন যে কোন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন বহুবার।যখন সৈরাচারী শাষকের শোষনে দেশের সাধারন জনগন কোনঠাষা হয়ে পড়ে তিনি নিজে বিপদে থেকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তার নির্বাচনী এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের মানুষের জন্য।
মণিরামপুরে ১৭টি ইউনিয়নের মধ্য গোবরে পদ্মফুল ফোটা এই জনগনের চেয়ারম্যান মোঃ নিস্তার ফারুক মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য-এমপি- পদপ্রার্থী এ্যাড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের অনুজ।
তথ্যআছে,একই ইউনিয়নে ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ২বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রাজনৈতিক মহলে এ্যাড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন।
২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোঃ নিস্তার ফারুক। সে থেকে আর কোন প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি তার এই জয়যাত্রা।২০১৬ সালের সর্বশেষ আ”লীগের ভোট জালিয়াতি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় নিস্তার ফারুকের জনপ্রিয়তার দৃশ্য। সারা দেশের মতো মণিরামপুরেও হয়েছিলো প্রহশনের নির্বাচন। ভোট জালিয়াতি,ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাঁধা দেওয়া এ সমস্ত প্রতিবন্ধকতা রুখে দিয়ে স্থানীয় ভোটারা স্বতস্ফূর্তভাবে ভোটারধিকার প্রয়োগে টানা তৃতীয়বারের মতো জনপ্রতিনিধি হিসাবে নিস্তার ফারুককে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।
সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে যে সমস্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের মধ্য নানান অপকর্ম,অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে উপজেলার ৯নং ঝাপা ইউপির সামসুল হক মন্টু,১৪নং দূর্বাডাংগা ইউপির মাজহারুল আনোয়ারকে বহিষ্কার করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।বাকিদের ২- ১ জনকে মাঝে মধ্যে পরিষদে দেখা গেলেও ৫ই আগস্টের গনঅভ্যুত্থানের পর নিজেদেরকে নিজেরাই জনগন থেকে লুকিয়ে রাখলেও একমাত্র ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোঃ নিস্তার ফারুক।
জনপ্রিয় দৈনিক আজকের বাংলা ও দৈনিক লিখনী সংবাদ এ প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে গেলে চিত্র ফুটে ওঠে। চায়ের দোকান থেকে কৃষকের চাষী জমিতে যারা কাজ করছে সে সমস্ত ভোটার কাছে ইউনিয়নের সেবা পাওয়া না পাওয়ায় নাই কোন আক্ষেপ।চেয়ারম্যানের দায়িত্ব,করনীয়তে এগিয়ে আছেন কতটুকু তা স্থানীয়দের মুখের কথা ও হাস্যউজ্জল চেহারায় প্রকাশ করে। ভৌগলিক অবস্থানে মণিরামপুর পৌরশহর থেকে পশ্চিমে সদর ইউনিয়নে বাকোশপোল,সোনাডাঙ্গা,দেবিদাসপুর,পাতন,ফতেয়াবাদ,হাজরাকাঠি,জালঝাড়া,শোলাকুড়,খদ্দগাংড়া এ ১০টি গ্রাম নিয়ে গঠিত মণিরামপুর সদর ইউনিয়ন। ২০০১ সালের তথ্যনুযায়ী এ ইউনিয়নে জনসংখ্যা ১৪১৭৯ জন,পুরুষ-৭২৭৬জন ও মহিলা ৬৯০৩ জন। শিক্ষার হারে ৫৭.৮৭% যার ভিতর নারী শিক্ষার হার ৪৬.৯৮%পুরুষ ৫৪.৫৭%। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২টি, বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা-৪ টি,নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১টি,মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১টি,মাদ্রাসা-০৫টি,ছোট বড় মিলিয়ে মসজিদের সংখ্যা ২৬ টি ও মন্দিরের সংখ্যা ০৮ টি।
নাগরিক সেবা যেমন রাস্তা-ঘাট- মসজিদ- মন্দিরের উন্নয়ন সহঅনুদান,বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা,প্রতিবন্ধী কার্ড,টিসিবি কার্ড এ সমস্ত সেবায় শতভাগই পেয়ে আসছে এ ইউনিয়নের জনগণ।
রাত-দিন সমান তালে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন এই জনগনের চেয়ারম্যান। মহামারি করোনা কালীন সময়েও রেখেছেন নিরলস ভূমিকা।মণিরামপুরের সর্বস্তরের জনগণের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন অক্সিজেন সরবরাহের টিম।
জনকল্যানকর এসমস্ত কার্যক্রমের বিস্তারিত ও আগামির পরিকল্পনা বিষয়ে একান্ত স্বাক্ষাতকারে নিস্তার ফারুক এ প্রতিনিধিকে জানান,আমরা পারিবারিক ভাবে জনগনের সেবাই সর্বদা থাকি। আমার বাবা,বাবার সমতূল্য ভাই(শহীদ ইকবাল) সবাই জনগনের সেবক। তাদের কাছ থেকেই জনসেবার হাতেখড়ি।আপনারা জানেন,সৈরাচারি শাষকের আমলে তারা কি করেছে,আমার নির্বাচনী এরিয়াতেও অনেক তান্ডবলীলা, জনসাধারনে ভোগান্তির মত নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলো যা আমার হয়ে জনগন প্রতিহত করে আমাকে তিন বারের মত নির্বাচিত করেছে। জনগনকে আমি ভালোবাসি তাই তারও আমাকে চাই। আমার ইচ্ছা নিজের সবটুকু নিয়ে হলেও মণিরামপুর সদর ইউনিয়নকে বাংলাদেশের মডেল হিসাবে গড়ে তুলবো। আমার ইউনিয়ন ছাড়াও যদি মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের জনগনকে সেবার কোন সুযোগ পাই তবে সেটা শতভাক বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করতে চাই।