
সাব্বির হাসান,মণিরামপুর প্রতিনিধি
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্ব স্ব সংসদীয় এলাকার প্রার্থীরা। সময়ের সাথে সাথে প্রতিটি আসনের প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব নির্বাচনী এলাকাতে জনসংযোগ ও দলীয় কাউন্সিলিং। সংসদীয় আসনে স্ব স্ব প্রার্থী তার পাল্লা ভারি করতে কষে চলেছে যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগ।
জনকল্যাণমূখী কাজের সুবাধে জনগনের আস্থা অর্জনে নিজস্ব চারিত্রিক ও রাজনৈতিক গুণাবলীতে জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যস্ত প্রতিটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী প্রার্থীরা।তথ্য অনুসন্ধানের সাথে ধারাবাহিক অভিমত প্রকাশে বৃহত্তর জেলা যশোর-৫ মণিরামপুর সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড: শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন এ প্রতিবেদনে জানিয়েছেন মণিরামপুর বাসীকে নিয়ে তার ভাবনা ও পরিকল্পনা। তথ্যচিত্রে ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড: শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন। পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে শহীদ ইকবালের জনপ্রিয়তায় সাধারণ জনগণ তাকে প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্য ভেবে নিয়ে দুরারোগ্য ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি তার ভারত গমনের মুহূর্তে নিজস্ব বাসভবন থেকে বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত সাধারণ মানুষ তৈরি করেছিলো এক স্বজনপ্রীতি ও আবেগাপ্লুত পরিবেশ। আত্বীয়-স্বজন সহ সাধারণ মানুষের চোখেও দেখা গিয়েছিল চাপা কান্নার ছায়া, কেউ কেউ ডুকরে কেঁদেছিল আড়ালে। জনমনের আক্ষেপ ছিল কবে সুস্থতা নিয়ে ফিরবে আমাদের শহীদ ইকবাল। এরপর থেকে দুরারোগ্য ক্যান্সার নিয়েই ছুটে চলেছেন মণিরামপুর বাসীর সুখ-দুঃখে, বিপদ-আপদে, সময়-অসময়ে অনবরত। বিরতিহীন ভাবে দিয়ে চলেছেন জনসেবা। রাত-দিন এক করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যখনই কেউ ডেকেছে ছুটেছেন সহযোগী হারুন-অর-রশীদ’কে সাথে নিয়ে। কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনেই গেছেন আগে মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে, অংশ নিয়েছেন মুসলিম হলে জানাজা শেষে দাফন-কাফনে, হিন্দু হলে শ্মশানঘাটে। মহামারি করোনাতেও মণিরামপুর বাসীর জন্য তৈরি করেছিলেন ফ্রী সেবা “অক্সিজেন সেল”। পেশাগত ভাবে এ্যাডভোকেট হওয়াতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বহু মামলা লড়েছেন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক প্রভাব ও জনপ্রিয়তায় শহীদ ইকবাল এতটাই এগিয়ে যে, দেশব্যাপী আ’লীগের শাসনামলে বিএনপি যখন কোনঠাসা তখনও নিয়মিত বসেছেন উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে, দলীয় ঘোষনা মোতাবেক সকল প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছেন নিজে উপস্থিত থেকে। তথ্য বলছে, মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের ৪বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মণিরামপুর পৌরসভার ২ বার মেয়র ও মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনও করেছেন তিনি। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার কাছ থেকে সংসদীয় টিকিট পান ৯১/৯৬সালে। দলগত ভাবে শহীদ ইকবাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে চলমান ৩৫বছর সুনামের সাথে নেতৃত্ব দিয়ে মণিরামপুর রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ব্লাক ডায়মন্ড’ খেতাবও পেয়েছেন নেতাকর্মীদের কাছে। প্রায় ৪৫ বছরের বর্ণাঢ্য বিএনপির এই রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রদল, যুবদল সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সামনে থেকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। রাজনৈতিক নেতা হিসাবে শহীদ ইকবাল কেমন তা জানতে চাইলে, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিঃযুগ্ম-আহব্বায়ক মফিজুর রহমান মফিজ, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সন্তোষ স্বর, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহব্বায়ক মোঃ মুক্তার হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহব্বায়ক আইয়ুব আলী, মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান সহ একাধিক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন যশোর-৫ মণিরামপুর সংসদীয় আসনে এ্যাড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন যোগ্য প্রার্থী। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে যশোর-৫ মণিরামপুর আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন একান্ত স্বাক্ষাতকারে প্রতিশ্রুতি জানান দেন যে, ভবদাহ সমস্যার সমাধান করা, অস্থিতিশীল মণিরামপুরে শান্তি ফেরানো, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে শতভাগ আইনের সেবা নিশ্চিত করা, জনগণের মান উন্নয়ন, গরীব-দুঃখীর পাশে থাকতে চাই। এক কথায় মণিরামপুরবাসীকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি!বিগত দিনে পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকা অবস্থায়ও আমি চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। জানিনা কতটুকু পেরেছি তবে আগামীতে জনগণ চাইলে আমার দেখা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ। মণিরামপুরবাসী আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যদি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সরেজমিনে জনপ্রিয়তা বিচার করে আমাকে মনোনীত করে, নির্বাচিত হয়ে মণিরামপুরবাসীকে সারাদেশের কাছে মডেল হিসাবে তুলে ধরতে চাই।