ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
কোটা বৈষম্য বিরোধী বিরোধী আন্দোলনের কারণে দেশের অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার- ইন্টারনেট সেবা বন্ধ- কারফিউ জারির পাশাপাশি২০ থেকে ২৩ জুলাই মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।এর ফলে বিপাকে পরে বৈদ্যুতিক ও গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকরা। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স শেষ অপরদিকে বিকাশ- নগদের মাধ্যমে রিচার্জ করতে না পেরে- বিদ্যুৎয়ের বিভিন্ন সাবস্টেশনে দীর্ঘ ঘন্টার পর ঘন্টা রোদ- বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাক ভেজা হয়ে শত শত নারী- পুরুষ গ্রাহকরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সামনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এই দৃশ্য। তেমনি চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ১৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাকলিয়া ওয়াপদা সৈয়দ শাহ সড়কে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কার্যালয়ের সামনে গত শনিবার ফজরের নামাজের পর হতে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন- রাত ৮- ১১ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎয়ের প্রিপেইড গ্রাহকদের মিটার রিচার্জের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের অভিযোগ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ এর কার্ড রিচার্জের অপেক্ষায় আছি। অপরদিকে সামনে লাইনের অগ্রভাগে বিদ্যুৎ এর কিছু অসাধু ষ্টাপ ও স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা পরিচয় দানকারীরা নিজস্ব পরিচয়ে লাইন ভেঙ্গে ভিতরে মানুষ প্রবেশ করিয়ে কার্ড রিচার্জ করে দিচ্ছে।
সরকার জনগণকে এইভাবে ডিজিটাল হয়রানি না করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে- পরবর্তীতে রিচার্জ থেকে টাকা কেটে নিলে সাধারণ মানুষকে এইভাবে হয়রানির শিকার হতে হতো না।এই বিষয়ে জানতে চায়লে বাকলিয়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের সাবষ্টেশন ইন্জিনিয়ার কায়সার আহমেদ জানান- গ্রাহকদের সেবার মান নিশ্চিত করতে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা- কর্মচারীরা নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে দিন রাত পরিশ্রম করে প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি- নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে। লাইনে শেষ গ্রাহকে কার্ড রিচার্জ করে দিয়েই আমরা ঘরে ফিরছি।