
নগরীর রূপাতলী বাসস্টান এলাকায় দুই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আমানত গঞ্জ সেকশন এলাকার বাসিন্দা মোঃ জহিরুল ইসলামের সাথে ২০০২ সালে শীতলা খোলা এলাকার ইউনুস হাওলাদারের কন্যা মোসাম্মৎ নুসরাত জাহান নিশার সাথে মুসলিম শরিয়া অনুযায়ী পারিবারিকভাবে ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরীয় মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। তিন থেকে চার বছর শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করলেও একটি বাচ্চা প্রসবের পরেই তাদের সংসারে আসে অশান্তী। শুরু হয় সংসারে কলহ আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথার কাটাকাটি। স্ত্রী নুসরাত জাহান নিশা জড়িয়ে পড়েন পরকীয়া প্রেম। এসব নিয়ে সংসারে সৃষ্টি হয় অশান্তি। একের পর এক পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয় নুসরাত। পরকীয়া প্রেমের সন্দেহ হলে স্বামী জহিরুল ইসলাম স্ত্রীকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তার অনুমতি ব্যতীত বিভিন্ন জায়গায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে ঘুরে বেড়ায়।
পরকীয়া প্রেমের কাহিনী স্বামী জহিরুল ইসলাম জানতে পেরে
ওত পেতে থাকে বুধবার বিকেলে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে ধরে পুলিশকে সোপর্দ করেন স্বামী জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, কুয়াকাটা গামী সুলতান পরিবহনে আসতে ছিলেন প্রেমিক জুটি। ওই গাড়িতে স্বামী জহিরুল ইসলাম আসতে ছিলেন। বরিশালে আসার সাথে সাথেই রুপাতলী লিলি পাম্প স্টেশনে বসে প্রেমিক দুটি হাতেনাতে ধরে পুলিশকে সোবদ্ধ করে। কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই মোঃ জুবায়ের পরকীয়া প্রেমিক যুগলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। টানা হেসরায় নুসরাত আহত হলে পুলিশ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠায়।প্রেমিক সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) কে থানা হেফাজতে আটক রাখা হয়।সিদ্দিকুর রহমান কর্ণ কাঠি এলাকার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়।