
মোঃ মাসুদ রানা মনি
রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর থেকে।।
এই পৃথিবীতে জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষ কতই না পেশা অবলম্বন করে,সে রকমই একটা পেশা বই বিক্রি করা,কিন্তু তা কোন লাইব্রেরিতে বা স্থায়ী কোন দোকানও নেয়,ভ্রাম্যমান বই বিক্রি এটা নাকি এখন তার পেশা নেয়,নেশায় পরিনত হয়েছে। বলছিলাম আবদুল মতিন নামের বই বিক্রি করা এক নেশাখোরের কথা।
নাম আবদুল মতিন রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের নোয়া বাড়িতে তার বসবাস।২ কন্যা ১ পুত্র সন্তানের জনক।
হেঁটে হেঁটে আদর্শলিপিসহ শিশুদের বিভিন্ন রকমের বই বিক্রি করাই মূল পেশা।
বছর বারো আগে ক্যালেন্ডার বিক্রি করতেন। এখন শিশুতোষ বই বিক্রি করেন।
প্রতিদিন হাজার বারোশ টাকা বিক্রি হয়। তা দিয়েই চলে তার সংসার । হাত পাতেন না। বই বিক্রি করা তার নেশা পেটের ক্ষুধার কারণে তা এখন পেশায় পরিনত হয়েছে।দেখা হয় শুক্রবার দুপুরে রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহমুদ ফারুকের সাথে।প্রেসক্লাবের সভাপতি শুনে আগ্রহ নিয়ে ছবি তুলেছে। খুব খুশি বেচা-বিক্রি ভালো হয়েছে। কথা বলার এক প্রসংঙ্গে তিন বললেন- খুব বেশি টাকার বা পুঁজির দরকার হয়না।
কয়েকটি লাইব্রেরির মালিক তাকে চিনেন ভালো করে। তারাই বইগুলো দেন- বিক্রি করে দোকানীর টাকা পরিশোধ করেন।
অভাবের কথা জানালেও বই বিক্রি এক ধরনের নেশা। বাড়িতে বসে থাকলে অসুস্থ হবেন- শরীরে জং ধরে যাবে। তাই সুযোগ পেলেই বই নিয়ে উপজেলা শহরে চলে আসেন।
আলহামদুলিল্লাহ- তার মুখের হাঁসিই বলে দেন মহান রাব্বুল আলামিন উনাকে ভালো রেখেছেন। রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার স ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ফারুক বলেন আবদুল মতিন ভাইয়ের মতো যদি দেশের সব মানুষ কর্মঠ হতো তাহলে এদেশে অভাব থাকতো না। আবদুল মতিন ভাই হতে পারে আমাদের অনুপ্রেরণা।