
পাবনা প্রতিনিধি।।
বিয়ের সাত মাস পর বাবার বাড়িতে ফিরেছেন সুমাইয়া খাতুন সুরমা (১৯) নামে এক গৃহবধূ তবে লাশ হয়ে। যৌতুকের মোটরসাইকেল না দেওয়ায় স্বামী মো. আসিফ আলী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে তার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (২২ অক্টোবর) খবর পেয়ে পুলিশ আসিফের ঘরের বারান্দা থেকে সুরমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। সুরমা ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন এলাকার ডহরশৈলা গ্রামের মো. সুজন আলীর মেয়ে। আসিফ নাটোরের লালপুরের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মো. হাসেম মণ্ডলের ছেলে।
এ ঘটনায় আসিফকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন গৃহবধূর বাবা সুজন আলী। মামলার পর আসিফ নিজেই আদালতে হাজির হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তাইবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসিফ ও সুরমার। এরপর যৌতুকের মোটরসাইকেল বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করে আসছিল আসিফ। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করত আসিফ। কয়েক দিন আগেও তাকে নির্যাতন করা হয়।
একই দাবিতে শনিবার রাতে মারধরের এক পর্যায়ে গলা টিপে ধরলে শ্বাসরোধে সুরমার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। আরও বলা হয়েছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আসিফের মা সুজন আলীকে ফোন করে মেয়ে অসুস্থ জানিয়ে বাড়িতে আসতে বলেন। পরে গিয়ে দেখেন বারান্দায় রাখা হয়েছে মরদেহ।
সুরমাকে ‘হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া’ এবং মামলা তুলে নিতে ও আপসের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুরমার বাবা সুজন আলী। তিনি বলেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বিচার চান।
আসিফের বাবা হাসেম মণ্ডল বলেন, ‘আমার ছেলে ও তার স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক ও দাম্পত্য কলহে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা বলতে পারব না।