পাবনা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহের পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর একজন এবং ৫১ ঘণ্টা অপরজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে পাবনা নাজিরগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কবর স্থানের পাশের পদ্মা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- নজরুল ইসলাম জানান- সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হামলার স্থান থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাবনার সুজানগর থানার মোহনপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে এ এস আই মুকুলের লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় জেলেরা।
খবর দিলে নৌ পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশটি নাজিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ কুমারখালীতে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিলাইদহ ঘাট এলাকার পদ্মা নদী থেকে এ এস আই সদরুল আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়- গত রোববার গভীর রাতে চরসাদিপুর এলাকার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্য নদীপথে যাওয়ার সময় অবৈধ ইলিশ শিকারীরা পুলিশের নৌকায় হামলা করে।
হামলায় পুলিশ পরিদর্শক -এসআই- নজরুল ইসলাম মারাত্মকভাবে আহত হন এবং তাদের সঙ্গে থাকা দুজন ইউপি সদস্যসহ বাকি পুলিশ সদস্য সাঁতরে পাড়ে উঠলেও সহকারী উপপরিদর্শক -এএসআই- সদরুল ইসলাম ও মুকুল হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করতে পারেননি।
পরে খুলনা ডুবুরি দল ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে সদরুল নামের সহকারী উপপরিদর্শকের লাশ উদ্ধার করেন।
৫১ ঘন্টা পর বুধবার সকাল ৮টার দিকে সুজানগর থানার নাজিরগঞ্জের পদ্মা নদীতে সহকারি উপপরিদর্শক মুকুলের লাশ ভেসে ওঠলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।