
শুক্রবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহওয়া অফিস।
জানা যায়, জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ, জজকোর্ট সড়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়ক, জেলা জামে মসজিদ সড়ক, হাউজিং এষ্ট্রেট, বালুল মাঠ, মাস্টার পাড়া, খোন্দকার পাড়া, মধুসূদনপুর লক্ষীনারায়নপুরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস, আবাসিক ও সড়কে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নোয়াখালী পৌরসভার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সমস্যা দেখা দেয়। এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে।এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, রোগী ও সাধারণ পথচারীরা। শহরের নিচু এলাকার জলাধারগুলো প্রায় হারিয়ে গেছে। অপরিকল্পিত আবাসন ও দোকানপাট গড়ে তোলার ফলে বৃষ্টির পানি আর কোথাও যেতে পারে না। যদি এখনই টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে শহর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে।
জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালীতে দেশের সর্বোচ্চ ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি হতে পারে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিকবার বৈঠক করেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জনগণেরও সহযোগিতাও প্রয়োজন।