
চঞ্চল,
জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণ-আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কতিপয় আওয়ামী পন্থী নামধারী মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন অপততপরতা ও নাশকতার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল্লাহ প্রধান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক ও সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় জেলার কতিপয় আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধা নামধারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গুণকীর্তনধারির অপততপরতা ও নাশকতার অপচেষ্টায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি এ সময় ১১ জন দোসর মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা পড়ে শোনান, যাদের মধ্যে আদিতমারীর ফিরোজুর রহমান নান্নু (আওয়ামীলীগ), পাটগ্রামের হাবিবুল হক বসুনিয়া (জাতীয় পার্টি), লালমনিরহাটের খাজের আলী (আওয়ামীলীগ), শ্রী শৈলেন্দ্র কুমার রায় (আওয়ামীলীগ), কামিনী কুমার রায় (আওয়ামীলীগ), নুরুজ্জামান (আওয়ামীলীগ), ইয়াসিন আলী মোল্লা (আওয়ামীলীগ), কালীগঞ্জের সাজ্জাদুর রহমান (আওয়ামীলীগ), হাতীবান্ধার আবুল কাশেম (আওয়ামীলীগ), পাটগ্রামের গোলাম মর্তুজা (আওয়ামীলীগ) এবং আব্দুল বাতেন (আওয়ামীলীগ) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারাদের অভিযোগ, তালিকায় দেওয়া ব্যক্তিরা তারা মুক্তিযোদ্ধা নন। তারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিচ্ছেন।
তাদের দাবি এই ব্যক্তিদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, হোসেন আলী, আদবুস সামাদ ও মতিয়ার রহমানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।