
ইউসুফ হোসাইন নাটোর প্রতিনিধি,
নাটোরে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে আট জন হয়েছে। নিহতদের সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ও চালক। ও যাত্রী।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় ঢাকা গামী যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও চার যাত্রী নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আরেকজনের মৃত্যু হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার রফেজ উদ্দিনের স্ত্রী ইতি খাতুন (৪৩) একই থানার ধর্মদহ এলাকার মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৬৫), মৃত জাহিদুলের স্ত্রী শেলি বেগম (৬০), মোহাম্মদ মোল্লার স্ত্রী আঞ্জুমান (৭৫) ও আন্না বেগম (৬০) এবং মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলার বাসিন্দা মাইক্রোবাসের চালক রুবেল হোসেন (৩২)। পরে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা (৪০) ও সাহাব (৪৩) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০ দিকে আইড়মারী এলাকায় মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান নামের একজন বলেন, “মাইক্রোবাসটি অন্য একটি গাড়িকে অতিক্রম করছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।” হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, হতাহত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। তারা সবাই এক পরিবারের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।