
অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা – সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে নরসিংদীতে ৬ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচী পালন করেছে। নরসিংদী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাহেপ্রতাব এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এসময় মহাসড়কের সড়কের উভয়পাশে যানজটের সৃষ্টি হলে যাএীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলন পরিষদের প্রধান কার্যকরি সদস্য যোবায়ের পাটোয়ারি ও প্রধান কার্যকরি উপদেষ্টা রহমত উল আলম শিহাব গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ৬ দফার যৌক্তিক দাবি পূরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সারাদেশে কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে
মহাসড়ক অবরোধের দুই ঘন্টা পর নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধূরী ও পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান অবরোধস্থলে উপস্থিত হন। এসময় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ৬ দফা দাবি পূরণের চেষ্টার আশ্বাস দিলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কতৃর্ক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন ও মামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান -১০ম গ্রেড- এর পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি -সার্ভেয়িং- হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও, যেসব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সকল শুন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরাবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে “কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়” নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।