
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা তিতাসের নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসির পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের কারণে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী।প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম’সহ উপজেলার সর্বত্রই বইছে সামালোচনার ঝড়। টেষ্ট পরীক্ষায় ৯/১১ বিষয়ে ফেল করার পরেও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ও ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য মিলন খানসহ অন্যরা। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা কমিটির দাতা সদস্য মিলন খান ও প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করার কথাও বলছেন অনেকে। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ১৯৯৫ এর দিকে নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে দাতা সদস্য মিলন খানের সাথে আতাত করে। তারপর শুরু হয় তাদের একের পর এক অনিয়ম। শিক্ষকদের যে বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে, তারা সে বিষয়ে ক্লাস না নিয়ে অন্য বিষয় নিচ্ছে।দাতা সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির কারণে এ ফলাফল বিপর্যয় বলে অনেকে মনে করেন।৫৪ জন অংশ গ্রহণকারী পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১৮ জন শিক্ষার্থী। যার হার ৩৩.৩৩%। তার মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অকৃতকার্য ১৮ জন,কৃতকার্য মাত্র ১জন।
ব্যবসায় শিক্ষায় ১৮ জনের মধ্যে অকৃতকার্য ১৪ জন, কৃতকার্য মাত্র ৪ জন।বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮ জনের মধ্যে কৃতকার্য ১৩ জন,অকৃতকার্য ৫ জন।এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ফল বিপর্যয়ের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান না করায় এবং
প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, এবার টেস্ট পরীক্ষায় ১০/১১ বিষয়ে ফেল করা প্রায় ১৪জন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রভাব খাটিয়ে ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফর্ম ফিলাপ করিয়েছে কমিটির লোকজন তার মধ্যে দাতা সদস্য মিলন খান জড়িত ছিলেন।তাছাড়া করোনার কারণে ও ছাত্রদের নিয়মিত ক্লাসে এটেন্ড না করা, দুর্ব্যবহার,দৌরাত্ম্যপনা, কথাবর্তা না শোনায় তাদের সামাল দেয়া সম্ভব হয়নি। এবারের এসএসসি ব্যাচটি ছিল খুব দুর্বল ও উশৃংখল। ছাত্ররা তাদের অভিভাবকদের কথাই শোনেনি, তাছাড়া ছাত্রদের শাসন করলে উল্টো শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা এসে আমাদের শিক্ষকদের সাথে নানা ঝামেলা করত।বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য মিলন খান তার প্রতি প্রধান শিক্ষকের অনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কি বলব বলার কিছুই নাই। অনেক ধরনের সমস্যাই রয়েছে এই স্কুলে তাছাড়া টেস্ট পরীক্ষায় ১০/১১ বিষয়ে ফেল করা ছাত্রদের ফর্ম ফিলাপের বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানিনা।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদাত মোশাররফ খানকে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফল বিপর্যয়ের কারণ এখনো আমি জানতে পারিনি, তবে আমি স্কুল ভিজিটিং করব তার বলতে পর ঠিক কি কারণে এ বিপর্যয়।