
মোঃ মাসুদ রানা মনি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ও রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান মাহফুজ আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে রামগঞ্জবাসী পেতে যাচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম।
মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের খলিফার দরজা সংলগ্ন বিঘা মৌজার প্রায় ৩.৩৪ একর জমি পরিদর্শন ও দখল বুঝে নিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার সরেজমিনে আসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ”উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্যায়) (১ম সংশোধিত) শীর্ষক” প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার অধিগ্রহণকৃত জমির দখল হস্তান্তর সংক্রান্ত জেলা প্রশাসক লক্ষ্মীপুর সূত্রে একটি পরিপত্র প্রকাশিত হয়।
উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্যায়) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঢাকার প্রকল্প পরিচালক মাহবুব মোরশেদ সোহেল (উপ-সচিব) স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রও মঙ্গলবার (২৬) আগষ্ট আমাদের হাতে আসে।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয় ২৭ আগষ্ট বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রতিনিধি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোঃ জাহিদ হোসেনসহ কর্মকর্তারা অধিগ্রহণকৃত ৩.৩৪ একর জমির দখল বুঝে নিবেন।
গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনকল্পে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বিঘা মৌজা এলাকায় (খলিফার দরজার ব্রীজ থেকে হাজীগঞ্জ যাওয়ার সময় রাস্তার ডান পাশে) স্টেডিয়ামের জন্য পূর্ব নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবব্রত দাশ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঢাকার প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মোঃ জাহিদ হোসেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঢাকার উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সজিবুল্লাহ সজিব, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যবৃন্দ।
উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়শনের উপদেষ্টা, উপজেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও রামগঞ্জ উপজেলা ক্রিকেট একাডেমির উপদেষ্টা মাহমুদ ফারুক জানান, সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত স্টেডিয়াম স্থাপন। দীর্ঘদিনের চাহিদা রামগঞ্জ উপজেলায় একটি স্টেডিয়াম স্থাপন করা। অবশেষে অন্তর্বর্তকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতায় স্টেডিয়াম স্থাপনে শিশু, কিশোর ও যুব সমাজ মাদক ও মোবাইলের আগ্রাসণ থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করি। আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ের ভিতরেই স্টেডিয়ামের কাজ শুরু এবং শেষ হবে। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, ক্রীড়াবিদ ও অভিভাবকদের দায়িত্বপূর্ণ আচরন আমাদেরকে সমৃদ্ধ দেশ উপহার দিবে বলেও মাহমুদ ফারুক মন্তব্য করেন।