
শওকত আলম, কক্সবাজার:
কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য মো. সালাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে ‘জোরপূর্বক স্ট্যাম্প নেওয়া’র অভিযোগ উঠেছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি মূলত ব্যক্তিগত পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তৈরি একটি ভুলবোঝাবুঝি ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালে। স্থানীয় নারী জান্নাতুল ফেরদৌস বেগম ও তার পুত্র তারেকুর রহমান— যিনি মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত, তাদের পারিবারিক অশান্তি থেকেই পুরো ঘটনার উৎপত্তি।
সূত্র জানায়, তারেকুর রহমান একই এলাকার এক তরুণীকে ভালোবেসে বিবাহ করেন। কিন্তু পরিবার সেই বিবাহ মেনে নেয়নি। পরে মেয়েপক্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে, যা বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। মামলায় জান্নাতুল ফেরদৌসও দুই নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
দীর্ঘ সময় কারাভোগের পর তারেকুর রহমান মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফিরে এলেও পারিবারিক কলহের কারণে তাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য সালাউদ্দিন মেম্বারের কাছে আসে।
ওয়ার্ডবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী, সালাউদ্দিন মেম্বার উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বিচারকার্য পরিচালনা করেন এবং দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি যৌথ স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেন। এটি কোনো পক্ষকে জোর করে বা একতরফাভাবে সাক্ষর করানো হয়নি— বরং স্থানীয় সমঝোতার অংশ হিসেবেই নেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি কিছু মহল জনপ্রিয় সালাউদ্দিন মেম্বারের সুনাম নষ্ট করতে জান্নাতুল ফেরদৌসের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ করায় এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘জোরপূর্বক স্ট্যাম্প নেওয়া’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি—
“সালাউদ্দিন মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগটি একদল চাটুকারের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।”
এদিকে সালাউদ্দিন মেম্বার বলেন,
“আমি ওয়ার্ডবাসীর শান্তি ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। কাউকে জোর করে কোনো কিছু করানো হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার জনপ্রিয়তা নষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
বর্তমানে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে রয়েছে। এলাকাবাসী নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

























