সি:স্টাফ রিপোর্টার -চট্টগ্রাম ব্যুরো।।
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলাইনে রহস্যজনকভাবে বন্ধকৃত ডেমু ট্রেন চালুর দাবিতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজহিতৈষী ও মানবাধিকার সংগঠক ডাঃ শাখাওয়াত হোসাইন হিরু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম আলমদার- আবুল হোসেন ছাবের ও ফিরোজুল আলম চৌধুরী -পলাশ-।
এ সময় ডাঃ শাখাওয়াত হোসাইন হিরু বলেন- আমি সাবেক পটিয়া মহকুমার খানমোহনা স্টেশন সংলগ্ন বানীপুর- খানমোহনা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমি শৈশবকাল থেকে দেখে আসছি- চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনে চার জোড়া ট্রেন অতি সুন্দরভাবে চলাচল করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে চার জোড়া ট্রেন তো দূরে থাক- একটি ডেমু ট্রেন চলাচল করত তাও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দোহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরে চাকরি, ব্যবসা এবং লেখাপড়ার জন্য যারা বিভিন্ন কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন তারা আবার নিজ নিজ কর্ম ও অন্যান্য কাজ শেষ করে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান।
ইতোপূর্বে সিআরবি ভবনের মিলনায়তনে জোন সিনিয়র সচিবের উপস্থিতিতে রেলওয়ে মিলনায়তনে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে অংশীজন সভায় রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়ে আমি সারগর্ভ বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলাম। যা অনলাইনের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরপর থেকে দ্রুত ডেমু ট্রেন চালুর কথা থাকলে ও তা মুখ থুবড়ে পড়ায় আমার মত শত শত যাত্রী সাধারণ হতাশ হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি আমি জানতে পারি পাহাড়তলী লোকোশেড হতে এক সেট ডেমু ট্রেন মেরামত কার্য্য সম্পাদন শেষে শীঘ্রই মূল ট্রেনের বহরে যুক্ত হচ্ছে। এতে আমরা আশাবাদী এ ট্রেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল লাইনে সংযুক্ত হবে। এতে ট্রেনের চেয়ে বেশি বাস ভাড়া দিয়ে বাস বা অন্য যানবাহনে যাতায়াতরত যাত্রীরা আশায় বুক বেঁধেছে যে, আবার চট্টগ্রাম-দোহাজারী শাখা লাইনে ডেমু ট্রেন চালু হবে। যা হলে পরে শুধু যাত্রী সাধারণ নয়- বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে ও নব দিগন্ত সূচিত হবে। এ ব্যাপারে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যাবস্থাপক মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কোন ধরনের সচিব, এমপি, মন্ত্রী কিংবা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা ছাড়া আমার একক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ পাঁচ মাস নিরলস শ্রম ও যে কোন মানুষের অতি মূল্যবান জিনিস হল সময়, সেটি ব্যয় করে আমার প্রাণপ্রিয় পটিয়া বাসীর প্রাণের দাবী নাজিরহাট লাইনে ট্রেন চালু থাকলে আমাদের চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারী লাইনে কেন চলবে না? সেটি উর্ধতন কর্মকর্তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়ে অতি শীঘ্রই চট্টগ্রাম- দাহাজারী লাইনে ডেমু ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। দাঁত থাকতে আমরা দাঁতের মূল্য কেউই দেই না। নাজিরহাট লাইনের যাত্রীরা দোহাজারী লাইন থেকে রেলওয়েতে আয় (রাজস্ব) অনেক বেশি দিচ্ছে, সেজন্য কারিগরি ত্রুটি ছাড়া কখনও নাজিরহাট লাইনে ট্রেন বন্ধ থাকে না কিংবা এ যাবত বন্ধ হয়নি, যতবার দোহাজারী লাইনে বন্ধ হয়েছে আমাদের দোহাজারী লাইনের যাত্রীদের নিকট আকুল আবেদন আপনারা বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ করবেন না, যদি তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠে পড়েন তাহলে পরবর্তী ষ্টেশনে নেমে হলেও টিকেট করবেন কিংবা আপনাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নেমে টিকেট করে নিবেন। এছাড়া নাজিরহাট রেল লাইনের মত শক্তিশালী দোহাজারী রেল যাত্রী কল্যাণ সমিতি করবেন, দূর্বল সমিতি নয়। আপনাদের কাজ হবে নাজিরহাট যাত্রী সমিতির মত সকলে টিকেট নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করছে কিনা? এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের পটিয়ার গর্ব একজন রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন যার কারণে আমার কাজও অনেকটা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।