
লিটন রানা শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা গারো পাহারে বার বার আগুন। এতে জঙ্গলে বসবাস করা বিভিন্ন প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা আগুনে পুড়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে পুড়ছে।
এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার -৮ মার্চ- বিকালে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা এস বি তানভীর আহমেদ ইমন থানায় সাধারণ ডায়েরী -জিডি নং-৩২১- করেছেন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের কিছু জায়গায় অজ্ঞাতনামা কে বা কাহারা শুকনা পাতায় আগুন লাগিয়ে দেয়। বর্তমানে দিন দিন আগুনের প্রখরতা বেড়েই চলছে। ফলে বনভ‚মির সরকারি সম্পদ ও বন্যপ্রাণীআবাসস্থল ধ্বংসসহ জীব বৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ী ও বন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে শালবাগান ধ্বংস করে বনের জায়গা দখলে নিতেই পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বনে পর্যটক ও গরুর রাখালদের বিচরণ থাকায় তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, তা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এ বিষয়ে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট, দরবেশ টিলা এলাকার বিস্তৃত শালবনে অন্তত ১০ থেকে ১২টি স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে
ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা এস বি তানভীর আহমেদ ইমন সাংবাদিকদের বলেন, গারো পাহাড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনি অবকাশ এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বেশি। এখন শুকনা মৌসুমে শালপাতা খুবই শুষ্ক অবস্থায় বনে পড়ে স্তুপ হয়ে থাকে। বনে পর্যটকদের আনাগোনা ও গরুর রাখালের বিচরণ থাকায় তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খান, সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় নেভানো হয়েছে। এ ছাড়া মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে।