Dhaka , Sunday, 5 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
মণিরামপুরে হ্যাট্রিক সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক।। লুটপাট করতে করতে দেশের মানুষকে ফুটপাতে বসিয়ে দেয়া হয়েছে- ড.মিজানুর রহমান আজহারী।। নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল।। রুপগঞ্জে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে আহত করার জের ধরে বসতবাড়িতে আগুন।। কারাবরণ করা সাহসী সাংবাদিক মোজাহিদ নয়া দিগন্তে নিয়োগ পেলেন।। ভোলা জেলায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ৫০ পিস ইয়ারা ট্যাবলেট সহ ২মাদক ব্যবসায়ী আটক।। ফরিদপুরে নিখোঁজের ৪দিন পরে রিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে যুব সমাজকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়বো -ডা. শফিকুর রহমান।। টেকনাফের নাফ নদীতে গো’লা’গু’লি এক মাদককারবারী নি’হ’ত।। চট্টগ্রামে ফুল উৎসব শুরু জীবনকে ফুলের মত পবিত্র করে গড়ে তুলতে হবে- মন্ত্রিপরিষদ সচিব।। উত্তর সাতকানিয়ায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে পৌরসভা ছাত্রদলের জয়লাভ।। রূপগঞ্জে বেপোরোয়া মাদকাসক্ত কিশোরগ্যাং।। সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের আনন্দ র‌্যালী।। ট্রাক্টর উল্টে প্রাণ গেল কিশোর চালকের।। পাইকগাছায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ।। মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ।। সুন্দরগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে ভুট্টা গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা।। সাতকানিয়ায় হাজী পাড়া সমাজ প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পন্ন।। বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি গাজীপুর এর সাধারন সভা অনুষ্ঠিত।। রূপপুর প্রকল্পের গ্রিনসিটির চারতলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর মৃত্যু।। বাংলাদেশের মানুষের সম্প্রীতির বন্ধন হাজার বছরের -ড. মঈন খান।। শরীয়তপুরে ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে র‍্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ।। লালপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন।। বাংলাদেশের প্রথম চা চাষ শুরু হয় সিলেটের মালনীছড়ায়।। আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।। দেবহাটায় পারুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি গঠন ও কর্মী সমাবেশ।। ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের কবর জিয়ারতে বিএনসিসি’র ডিজি।। দেবহাটা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ওয়ার্ড অফিস উদ্বোধন।।

গাজীপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছেই : জনসাধারণ দিশেহারা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:03:11 pm, Saturday, 5 March 2022
  • 257 বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছেই : জনসাধারণ দিশেহারা

 

মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর সহ সর্বত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চলছে চরম অস্থিরতা। জরুরি পণ্যগুলোরই দাম দিন দিন বেড়েই চলছে । এর মাঝে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বাজারে যেন লেগেছে আগুন। এ নিয়ে সপ্তাহ জুড়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষরা আজ অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করছে। সব স্তরের মানুষ নিত্যপণ্যের দামের বর্তমান লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। গরিবরা আছে মহাসঙ্কটে , আর মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা যায়, মৌসুম শেষে বাজারে নতুন চাল আসায় দাম কমার কথা কিন্তু কমেনি। মিলপর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে চালের মজুত পর্যাপ্ত। ঘরে ঘরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বস্তা। তবুও কয়েক মাস ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। সর্বশেষ এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম কেজিতে তিন-পাঁচ টাকা বেড়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া ভোজ্য তেল, আটা-ময়দা, চিনি, মুরগি ও গরুর মাংস এবং ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন-টিসিবি পণ্যের নায্যমূল্যের বাজার সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি সরু ৯ এরপর চাল গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের এই হার করোনাপূর্ব ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে।

টিসিবির তথ্যমতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভোজ্য তেল হিসাবে সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ১০৪ টাকা। সেই সয়াবিন তেল আজ কিনতে হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির এ হার প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। আরেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হলো মসুর ডাল। এর দাম বেড়েছে ৭৭ শতাংশেরও বেশি। বর্তমানে বাজারে আটার দাম বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।

রমজান শুরুর আরো দেড় মাস বাকি। অথচ এখনই প্রতিটি পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে চাল, ডাল, তেল, মাছ, গোশত, সবজিসহ প্রতিটি পণ্যমূল্য। বর্তমান-বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি ও সরবরাহ থাকলেও তা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে বাজার সিন্ডিকেট। কখনো কখনো মুনাফাখোর চক্র পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রমজান সামনে রেখে গত বছরের মতো এবারও বাজারে বিভিন্ন পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। লক্ষণীয়, রমজানের আগে পণ্যের দাম বাড়ানো হলে পরে তা আর কমানো হয় না। কাজেই বাজারের নিয়ন্ত্রণ যাতে দুষ্টচক্রের হাতে চলে না যায়, সেজন্য কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বাজারের নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশে পড়বে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এবং পণ্যমূল্য নাগালের মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের আরো নিষ্ঠার সাথে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ অতীব জরুরী ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

মণিরামপুরে হ্যাট্রিক সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক।।

গাজীপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছেই : জনসাধারণ দিশেহারা

আপডেট সময় : 10:03:11 pm, Saturday, 5 March 2022

 

মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর সহ সর্বত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে চলছে চরম অস্থিরতা। জরুরি পণ্যগুলোরই দাম দিন দিন বেড়েই চলছে । এর মাঝে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বাজারে যেন লেগেছে আগুন। এ নিয়ে সপ্তাহ জুড়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষরা আজ অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করছে। সব স্তরের মানুষ নিত্যপণ্যের দামের বর্তমান লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। গরিবরা আছে মহাসঙ্কটে , আর মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা যায়, মৌসুম শেষে বাজারে নতুন চাল আসায় দাম কমার কথা কিন্তু কমেনি। মিলপর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে চালের মজুত পর্যাপ্ত। ঘরে ঘরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বস্তা। তবুও কয়েক মাস ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। সর্বশেষ এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম কেজিতে তিন-পাঁচ টাকা বেড়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া ভোজ্য তেল, আটা-ময়দা, চিনি, মুরগি ও গরুর মাংস এবং ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন-টিসিবি পণ্যের নায্যমূল্যের বাজার সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি সরু ৯ এরপর চাল গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দারিদ্র্যের এই হার করোনাপূর্ব ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে।

টিসিবির তথ্যমতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভোজ্য তেল হিসাবে সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ১০৪ টাকা। সেই সয়াবিন তেল আজ কিনতে হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির এ হার প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। আরেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হলো মসুর ডাল। এর দাম বেড়েছে ৭৭ শতাংশেরও বেশি। বর্তমানে বাজারে আটার দাম বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।

রমজান শুরুর আরো দেড় মাস বাকি। অথচ এখনই প্রতিটি পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে চাল, ডাল, তেল, মাছ, গোশত, সবজিসহ প্রতিটি পণ্যমূল্য। বর্তমান-বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি ও সরবরাহ থাকলেও তা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে বাজার সিন্ডিকেট। কখনো কখনো মুনাফাখোর চক্র পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রমজান সামনে রেখে গত বছরের মতো এবারও বাজারে বিভিন্ন পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। লক্ষণীয়, রমজানের আগে পণ্যের দাম বাড়ানো হলে পরে তা আর কমানো হয় না। কাজেই বাজারের নিয়ন্ত্রণ যাতে দুষ্টচক্রের হাতে চলে না যায়, সেজন্য কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বাজারের নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশে পড়বে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে এবং পণ্যমূল্য নাগালের মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের আরো নিষ্ঠার সাথে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ অতীব জরুরী ।