
মো.ইমরান হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার।।
গাজীপুরে তিন বছরের শিশু নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর বাথরুমে বালতির ভেতর পাওয়া গেছে শিশুর লাশ। এ ঘটনায় প্রতিবেশী সাথী আক্তারকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশু কুলসুম (৩) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার ফাজলিপুর গ্রামের সেন্টু বেপারীর কন্যা। সেন্টু বেপারী একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার দক্ষিণ খালকৈর সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত সাথী আক্তারও একই বাড়ির ভাড়াটিয়া। সাথী সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মহেশপুর গ্রামের আব্দুস সুবহানের কন্যা।
জানাযায় , গত রোববার রাত ৮টায় শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে আশপাশে বহু খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে একই বাড়ির পার্শ্ববর্তী রুমের ভাড়াটিয়া সাথী আক্তারের বাথরুমের ভেতর কাপড় কাঁচার ভালতির ভেতর শিশু কুলসুমের মৃতদেহ কাপড়চাপা অবস্থায় পাওয়া যায়। বাথরুমটির সিটকিনি বাহির দিক থেকে আটকানো ছিল। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সাথী আক্তারকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। সাথী শিশুটিকে হত্যা করে বালতির ভেতর কাপড়চাপা দিয়ে লাশ লুকিয়ে রাখে বলে শিশুর বাবা-মার অভিযোগ। পুলিশ শিশুটির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জিএমপি গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মাকসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান , আমরা ধারণা করছি শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ভালতিতে ভরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাথী আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।