
মো.ইমরান হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার।।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া আক্রান্ত ও প্রতিরোধসহ নানান বিষয় আলোচনা ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পরে সেভ দ্যা চিলড্রেনের উদ্যোগে দুই শতাধিক মানুষের মাঝে মশারি বিতরণ করা হয়।
বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি ককরপোরেশনর নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডেঙ্গু – চিকনগুনিয়া আক্রান্ত ও প্রতিরোধসহ নানান বিষয় আলোচনা ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা.মো. খায়রুজ্জামান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. শাহীন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. জিসানুল হক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, গাসিক ন্যাশনাল ইপি আই আরবান স্পেশালিস্ট ডা. তাপস কুমার হালদার, পাবলিক হেলথ এপিডেমিওলজিস্ট সেভ দ্যা চিলড্রেনের কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া আফরিন প্রমুখ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন,
গাজীপুর সিটিতে ডেঙ্গু রোগ নিধন/প্রতিরোধে বাসা ও অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে। এক্ষেত্রে কোথাও ডেঙ্গু রোগের লার্ভা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া জীবানুবাহী মশা নিধনে ইতোমধ্যে সপ্তাহব্যাপি সচেতনতামূলক প্রচারাভিয়ান শুরু করেছি। এ মশা নিধনে ২০ হাজার লিটার কীটনাশক ২২৪টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন এবং ১২৭টি ফগার মেশিনও ১৫ হাজার লিটার মশা নিধনের ঔষধ প্রস্তুত রয়েছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, গাজীপুর ডেঙ্গুজোনে পরিণত হয়েছে। গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ৫৫ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছে। এ যাবৎ এ মাসে মোট ৮৮ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিয়েছেন আমাদের দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা অপ্রতুল নয়। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত কমাতে এবং দূর করতে সচেতন হওয়া জরুরি।