
মো. ইমরান হোসেন হান্নান,
কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নানা দূ্র্নীতি ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গ্রাহক-সাধারনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় মিটার রিডিং প্রস্তুতকারী কর্মচারীদের দূ্র্নীতিবাজ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে মনগড়া ও মিটার না দেখেই রিডিং লেখা ও বিল তৈরি করা, আবাসিক মিটারে বাণিজ্যিক বিল এবং বাণিজ্যিক মিটারে আবাসিক বিল তৈরি করা হচ্ছে। আবাসিক মিটারে পর পর দুই মাস ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা বিল তৈরি করছে, আবার তৃতীয় বা চতুর্থ মাসে দুই-তিনগুন বিদ্যুৎ বিল আসছে। ফলে অতিরিক্ত বিল পরিষশোধ করতে গিয়ে গ্রাহক-সাধারনরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। একদিকে ভৌতিক বিল অন্যদিকে ঘন্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকা কখনো সারাদিনেও বিদ্যুত না থাকায় গ্রাহক ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে কল-কারখানার উৎপাদনও মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এব্যাপারে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেও গ্রহকরা কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে,উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের টালাবহ বাজার সংলগ্ন আতিকুল ইসলামের অটো-রিক্সা ( ব্যাটারি চার্জার) গ্যারেজের বাণিজ্যিক মিটারে প্রায় ৪ হাজর টাকা বিল হওয়ার কথা সেখানে গত দুই মাস যাবত জুলাই ও আগষ্ট মাসে বিল হয়েছে মাত্র ২৫৫ টাকা করে। অপরদিকে টালাবহ এলাকার ইমরান হোসেনের আবাসিক মিটারে গত জুলাই মাসে ৮২২ টাকা, চলতি আগষ্ট মাসে বিল আসছে ১৭৮৫ টাকা। এভাবে মনগড়া ও মিটার না দেখেই বিল তৈরির চিত্র পাওয়া গেছে। জানাযায়, আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ বন্ধ এবং কাল্পনিক বিল তৈরির ঘটনা উপজেলার অন্যান্য এলাকার গ্রাহকদেরও বহু অভিযোগ থাকলেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। এব্যাপারে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা ডি.জি.এম সোলাইমান হোসেন বলেন, আমার নিকট অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


















