
পাবনা প্রতিনিধি:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরাতে পেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে। খুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি এখনো দায়িত্বে থাকতে পারেন না। গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, তারা দেশের জনগণের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে।’
সোমবার (০৭ জুলাই) রাত ১১টার দিক পাবনার আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্বরে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, অভ্যুথানের পরে আমাদের মিডিয়া সংস্কার লাগবে, পুলিশের সংস্কার লাগবে, আমলাতন্ত্রের সংস্কার লাগবে, সেনাবাহিনীর সংস্কার লাগবে, সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন দেশ গড়ব।
বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধানে আমাদের অভিমুখ। গণঅভ্যুথানের মধ্যে আমাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা দেয়ালে দেয়ালে যেই গ্রাফিতি একেছিল সেই গ্রাফিতির মধ্য দিয়েই নতুন সংবিধান লেখা হয়ে গেছে। সেই সব গ্রাফিতিতে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা লেখা হয়েছিল।
পাবনাবাসীকে আমরা বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করব। সেই সংবিধান দিয়েই নতুন বাংলাদেশ চলবে। পাবনায় আসতে যে কষ্ট হয়েছে। পাবনার রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প প্রত্যক্ষভাবে দেখলাম।
পাবনাবাসীকে কতটা কষ্টে অবজ্ঞা ও অবহেলার মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আগামীতে আপনাদের পাশে আমরা থাকব ইনশাআল্লাহ। আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবি উত্থাপন করা হবে।
এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জুলাই যুদ্ধাদের দেখতে পাবনাবাসী অধির আগ্রহে থাকে। বিকেল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ চত্বরে জড়ো হতে থাকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।
সিরাজগঞ্জ থেকে রাত সোয়া ১০টার দিকে পাবনা শহরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকায় এলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পাবনার নেতারা তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর শহীদ চত্বরে মিনিট্রাকে বানানো অস্থায়ী মঞ্চে নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহিন সরকার প্রমুখ।