রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি মাহবুব রহমান রানার হত্যাকারী পলাতক আসাম ইকবাল হোসেন তারেক (৩৮)কে রাজধানীর দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে চাঁদপুর জেলার উওর ইছুলী গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে। তারেক উক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী।
গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এবিষয়ে র্যাব মিডিয়া সেন্টার কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন,২০১৪ সালে রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি এবং রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাহবুবুর রহমান রানাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার কান্ডের ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি গ্রেফতারকৃতর নাম সহ অজ্ঞাতনামা করে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়,যার মামলা নং-৪৩।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন,তৎকালীন সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিল কামরুল ইসলাম এবং তানভিরুজ্জামান রনি। তাদের সাথে নিহত মাহবুবুর রহমান রানার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ডিসের ক্যাবল কেটে দিত এবং উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায়শই মারামারি হত।
উক্ত ঘটনার জের ধরে ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাহবুবুর রহমান রানা মোটরসাইকেল যোগে মগবাজার চৌরাস্তা থেকে মসজিদের পাশের গলিতে প্রবেশ করলে বাটার গলির মুখে আসলে গ্রেফতারকৃত আসমীসহ কয়েকজন মোটরসাইকল গতি রোধ করে রানার মুখে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলে তারা বোমা বিস্ফোরন ঘটায় এবং গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ টি তাজা বোমা ও রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে।
উক্ত মামলার ঘটনায় সুইফ ক্যাবল লিমিটেড এর মালিক কামরুল ইসলামকে পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করলেও মোঃ ইকবাল হোসেন তারেক পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘদিন মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ জুন বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন গ্রেফতার এবং ৪ জন পলাতক ছিল।
তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও মাদকসহ ৪ টি মামলা রয়েছে।