
নাদিম সরকার,
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে। তিনি বলেন,কীটনাশকের বিষয়টি শুধু কৃষি নয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নীতিতেও অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।
আজ বিকালে ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এগ্রোইকোলজি কোয়ালিশন বাংলাদেশ, পিকেএসএফ, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে, ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও এফআইভিডিবি-এর যৌথ আয়োজনে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মৌলিক নীতিমালা: বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ -শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা প্রাকৃতিক জলাশয় রক্ষা এবং বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের সংরক্ষণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মাছ ধরার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জলাশয়ের পরিবেশগত সুরক্ষা এখন অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরো বলেন , বাওরগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা গেলেও দায়িত্বজ্ঞানহীন পর্যটনের কারণে হাওর এলাকায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই এসব বিষয় পর্যটন নীতিতেও অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য উৎপাদনের খাত হিসেবে নীতিগতভাবে কৃষির তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে, যা পরিবর্তন জরুরি। বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মাছ মরে যাওয়া পরিস্থিতি উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি শি জিয়াওকুন এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রোইকোলজি কোয়ালিশনের আহ্বায়ক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের গবেষণা পরিচালক আহমেদ বোরহান এবং সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা।
এসময় সরকারি-বেসরকারি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
























