
মাহবুবা ইসলাম ফাতেমা,
মানিকগঞ্জের রফিক রাজু শাখা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তন্নী আক্তার (১৫) দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিল রোগে ভুগছে। আড়াই বছর বয়স থেকেই তার কিডনির ছাঁকনিতে সমস্যা দেখা দেয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়, ফলে শরীরে পানি জমে ফুলে ওঠে।
তন্নীর বাবা হাবিবুর রহমান একটি হাসপাতালে স্টাফ হিসেবে কাজ করেন। সীমিত আয়ের এই পরিবারে মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করা এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গত ১২ বছর ধরে ডেলটা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, পিজি হাসপাতাল ও কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ইতোমধ্যে একবার কিডনির বায়োপসি করা হয়েছে, তবে একটি কিডনি আর কাজ করছে না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নতুন করে আবারও বায়োপসি করতে হবে এবং হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষ একধরনের ইনজেকশন নিতে হবে, যার প্রতিটির দাম প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তিনটি ইনজেকশন দিতে হবে, তবে এরপরও তন্নী সুস্থ হবে কি না নিশ্চিত নন ডাক্তাররা। তবুও এই চিকিৎসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানানো হয়েছে।
অসহায় পরিবারটি সমাজের হৃদয়বান মানুষদের সহযোগিতা কামনা করছে।
যোগাযোগ :01760730219 (তন্নীর অভিভাবক)