মোঃরুবেল মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলজিইডি লেভার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি -এল.সি.এস- off pavement. no work no pay. প্রকল্পে ১০০ জন নারী কর্মী নিয়োগে ১০ হাজার টাকা করে অন্তত ১০ লাখ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে কমিউনিটি অর্গানাইজার শিউলি আক্তারের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী নারী কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- রাস্তা রক্ষণাবেক্ষন কাজে লেভার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি -এল.সি.এস- প্রকল্পে নিয়োগে নতুন নারী কর্মীদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ও পুরাতনদের কাছ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন কমিউনিটি অর্গানাইজার শিউলি আক্তার। চাকরির জন্য লাগবে বলে গত বছরের মে মাসে সহদেবপুর ইউনিয়নের টেরকি গ্রামে কাজ চলাকালীন এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে নারী কর্মীদের সাইটের কাজের সময়ে এ ঘুষের টাকা নেন তিনি। অনেকেই এই টাকা যোগাড় করতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ধার নিয়েছেন প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের কাছ থেকে। এই ঘুষ লেনদেনের কথা প্রকাশ করলে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন শিউলি আক্তার। ভুক্তভোগী নারী কর্মীরা আরও জানান- আমাদের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে, মূল বেতন থেকে কর্তনকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাইলেও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন শিউলি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পতিত সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহায়তায় কালিহাতীতে বদলি হয়ে আসেন তিনি।
এলেঙ্গা বল্লা রোডে কাজ করা ৫০ উর্ধে এক বিধবা নারী কর্মী বলেন, আমরা গরীব মানুষ রাস্তায় কাজ করে খাই, ঘুষের টাকা নিলে ভালো হবেনা। তিনি আরো বলেন- সবাই কি এখানে কাজ করবে। আমরা অসহায় পরিবারের কামাই করার কেউ নেই, স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই তাই নিজেই কামাই করে যা পাই তাই দিয়ে চলি।
কালিহাতী প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়-
দেলদুয়ার এলজিইডি থেকে কালিহাতীতে ০৫-০৫-২৪ ইং তারিখে বদলি হয়ে এসেই অবৈধ অর্থ উপার্জন ও এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যানের মেয়ে পরিচয়ে প্রভাব খাটানো শুরু করেন।
অভিযুক্ত কমিউনিটি অর্গানাইজার -সিও- শিউলি আক্তার বলেন- লেভার কন্ট্রাক্ট সোসাইটি -এল.সি.এস- প্রকল্পে নিয়োগের জন্য কর্মীদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমাকে চিনেনতো কোকডহরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মেয়ে আমি।
অভিযুক্তের এ বক্তব্য প্রদানের পর পরই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীদের নিকট বিভিন্ন মহল থেকে সংবাদটি না করার অনুরোধ জানিয়ে ফোন কল আসে।
কালিহাতী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন- অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও তার বিষয়টির সাথে আমার অফিসের ভাবমূর্তি জড়িত বলে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী
মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে এবিষয়ে বার বার জানানোর পরে তিনি শুধু বলতেন বিষয়টা দেখতেছি।