
কক্সবাজার অফিস:
কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঁকখালী নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করে।
অভিযানের অংশ হিসেবে স্কেভেটর দিয়ে নদীপাড়ের একের পর এক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে দীর্ঘদিন ধরে নদী দখল করে গড়ে তোলা দোকানপাট, বসতঘর ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়।
তবে উচ্ছেদকৃত অনেক পরিবার ও ব্যবসায়ী দাবি করছেন—প্রশাসনের তালিকায় থাকা বৈধ স্থাপনাও কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ভাঙচুর করা হচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদী দখল করে গড়ে তোলা সব স্থাপনাই উচ্ছেদের আওতায় আনা হবে। তবে বৈধ স্থাপনা ভাঙার অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা মন্তব্য করতে রাজি হননি। অভিযান আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
কক্সবাজারের পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন সেভ দ্য কক্সবাজার- এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক তৌহিদ বেলাল বলেন, ‘বাঁকখালী নদীর উভয় তীর জবরদখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের। তবে, শুধুমাত্র লোকদেখানো অভিযান না চালিয়ে নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় রাতারাতি গড়ে তোলা সকল অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি যারা নদীর জমি দখল করে প্লট বাণিজ্য করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে’।