দেবহাটা প্রতিনিধি।।
নলতা এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়- মঙ্গলবার -২০ আগস্ট- কালিগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান -ভারপ্রাপ্ত- প্রধান শিক্ষক ও দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম। লিখিত অভিযোগে ১১ জনের নাম উল্লেখ্য সহ ২০- ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
আরো জানা যায়- কালিগঞ্জ থানাধীন নলতা মৌজায় বিআরএস ১৫১ দাগে ২০ শতাংশ জমির উপর এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় বিগত ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আচারণগত শিক্ষা প্রদান করে আসছে। বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে ১৫৬ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষা প্রদান করে আসছেন। কিন্তু বিগত বাংলাদেশ সরকার পদত্যাগের পর কয়েকজন ভ‚মিদস্যু গত ৬ আগস্ট সকাল ৯ টার দিকে বাঁশের লাঠি, লোহার রড- শাবল- কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে অনধিকার ভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে অভিযুক্তরা। এসময় বিদ্যালয়টি ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে তারা। বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করার লক্ষে সংঘবদ্ধভাবে দেশের ক্রান্তিকাল সময়কে পুঁঁজি করে এমন জঘন্ন কাজে লিপ্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি সংস্কার করে পুন:রায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের লক্ষে প্রস্তুতি গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ জনক ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান অব্যহত থাকায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এমজেএফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হামলা ও লুটপাট অত্যান্ত দুঃখজনক বিষয়। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের জন্য কালিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিদ্যালয়। এ ধরণের কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- রফিকুল ইসলাম জানান- বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।