Dhaka , Sunday, 23 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু।  হাতিয়াতে বিএনপির দু্গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-২২ নোয়াখালী-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পথসভা ছাত্রদল নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে স্বজন ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন ট্রেনে কাটা পড়ে ঈশ্বরদীতে নিহত ১ ইবির কলা অনুষদের তিন বিভাগে বাড়ছে ৩০টি আসন ফতুল্লায় ভাড়াবাড়িতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দশম উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ভূমিকম্পের জন্য এ ওয়ান পোলার গার্মেন্টস তিন দিনের ছুটি ঘোষণা ॥ রবিনটেক্স ভবন ফাটলে আতঙ্ক কাটেনি পালেরচরে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এএমআর মোকাবিলায় প্রিভেন্টিভ হেলথ প্র্যাকটিস ও ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ জরুরি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জাতীয় বেতনস্কেল অনুসারে ইমাম-খতিবদের বেতন-ভাতা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন : ধর্ম উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়াসা সুয়ারেজ পাইপ লাইন কর্মীদের কাজে বাঁধা, রক্তের বন্যা বয়ে দেয়ার হুমকি নরসিংদীতে আবারও ভূমিকম্প, আতন্কে রাস্তায় নেমে এলো মানুষ কক্সবাজারে স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন সমৃদ্ধি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সহোদর ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু সিএমইউজে’র নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন পাইকগাছায় বিএনপির সেন্টার কমিটি বিষয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে জনদুর্ভোগ লাঘবে সোমেশ্বরী নদীতে কাঠের সেতু করে দিলেন – ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবেনা: তানিয়া রব বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্বোধন মধুপুরে টাঙ্গাইল- ১ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ধর্ম ব্যতীত শিক্ষায় মানুষ বিপদগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে:- ধর্ম উপদেষ্টা পাইকগাছায় পাখি সুরক্ষায় মাঠসভা ও ৪০টি পাখির বাসা স্থাপন আওয়ামী লীগের আমলে যারা টাকা লুটপাট করছে এই মানুষগুলিও শিক্ষিত ছিল- -নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনাসভা বর্জন করলো ইবি ছাত্রদল

এএমআর মোকাবিলায় প্রিভেন্টিভ হেলথ প্র্যাকটিস ও ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ জরুরি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:54:24 pm, Sunday, 23 November 2025
  • 3 বার পড়া হয়েছে

নাদিম সরকার,

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এন্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এখন দেশের স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য এবং এমনকি কৃষি খাতেও গুরুতর সংকট সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রিভেন্টিভ প্র্যাকটিস, ওয়ান হেলথ সহযোগিতা এবং শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে সমন্বিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ–২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত মাল্টি-সেক্টোরাল ওয়ান হেলথ এএমআর সেমিনার-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশে সম্প্রতি ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক থাকলেও, এর চেয়েও বড় ও স্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করছে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক ব্যবহার। তিনি বলেন, “সেমিনারে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের হার ইতোমধ্যে ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া পোল্ট্রি খাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার ৭৬.৯ শতাংশ, যা সরাসরি মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। তিনি আরো বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি একবারে ঘটে শেষ হয়ে যায়; কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে।”

উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আজও “ইনজেকশন দিলে ডাক্তার ভালো, এন্টিবায়োটিক লিখলে ডাক্তার সেরা”—এ ধারনা প্রচলিত। এমনকি জ্বর না কমলেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জন্য এন্টিবায়োটিক দাবি করেন। এমনকি ১১ মাস বয়সী শিশুও রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে—যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, শুধু মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে হবে না। আমাদের এনিমেল, ফরেস্ট ও ওয়াইল্ড লাইফ হেলথ—সবকিছুই সুরক্ষা দিতে হবে। খাদ্য, প্রাণী ও মানুষের স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এ কারণেই ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব প্রাণীতে যেভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে —ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ ছাড়া সমাধান নেই।

তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপদ না হলে মানুষের স্বাস্থ্য কখনোই নিরাপদ থাকবে না। এ জন্য জনসাধারণের মাঝে এমন দাবি জোরালো করতে হবে-“এন্টিবায়োটিক-ফ্রি মুরগি চাই, এন্টিবায়োটিক-ফ্রি মাছ চাই”। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে সামাজিক চাপ ও সচেতনতা তৈরি করাই রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলার অন্যতম কার্যকর উপায়। তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিষয়ে সচেতনতা শুধু একটি সপ্তাহে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বছরব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দিবসের মাধ্যমে ধারাবাহিক প্রচারণা চালাতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং যত তীব্র হচ্ছে, নতুন রোগের প্রকোপ ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকিও তত বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স—দুটি বৈশ্বিক সংকট পরস্পর গভীরভাবে সম্পর্কিত বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং বলেন,“এই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সমন্বিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন এফএও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জিয়াওকুন শি (Jiaoqun Shi), ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ, বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা (WOAH) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. হিরোফুমি কুগিটা (Dr. Hirofumi Kugita) (রেকর্ডেড), বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. খায়ের আহমেদ চৌধুরী ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (এক্সটেনশন) ডাঃ বেগম শামছুননাহার আহম্মদ।

প্রাণিসম্পদ খাতে এএমআর/এএমইউ’র বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো: শাহীনুর আরম, মানবস্বাস্থ্য খাতে এএমআর/এএমইউ’র বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি-তে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেনমেন্ট প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. সামছাদ রাব্বানি , মৎস্য খাতে এএমআর/এএমইউ’র বর্তমান পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: হাবিব ফরহাদ আলম।

এ সময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খামারি এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু। 

এএমআর মোকাবিলায় প্রিভেন্টিভ হেলথ প্র্যাকটিস ও ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ জরুরি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : 04:54:24 pm, Sunday, 23 November 2025

নাদিম সরকার,

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এন্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এখন দেশের স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য এবং এমনকি কৃষি খাতেও গুরুতর সংকট সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রিভেন্টিভ প্র্যাকটিস, ওয়ান হেলথ সহযোগিতা এবং শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে সমন্বিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ–২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত মাল্টি-সেক্টোরাল ওয়ান হেলথ এএমআর সেমিনার-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশে সম্প্রতি ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক থাকলেও, এর চেয়েও বড় ও স্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করছে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ও অযৌক্তিক ব্যবহার। তিনি বলেন, “সেমিনারে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের হার ইতোমধ্যে ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া পোল্ট্রি খাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার ৭৬.৯ শতাংশ, যা সরাসরি মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। তিনি আরো বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি একবারে ঘটে শেষ হয়ে যায়; কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে।”

উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আজও “ইনজেকশন দিলে ডাক্তার ভালো, এন্টিবায়োটিক লিখলে ডাক্তার সেরা”—এ ধারনা প্রচলিত। এমনকি জ্বর না কমলেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জন্য এন্টিবায়োটিক দাবি করেন। এমনকি ১১ মাস বয়সী শিশুও রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে—যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, শুধু মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে হবে না। আমাদের এনিমেল, ফরেস্ট ও ওয়াইল্ড লাইফ হেলথ—সবকিছুই সুরক্ষা দিতে হবে। খাদ্য, প্রাণী ও মানুষের স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এ কারণেই ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব প্রাণীতে যেভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে —ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ ছাড়া সমাধান নেই।

তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপদ না হলে মানুষের স্বাস্থ্য কখনোই নিরাপদ থাকবে না। এ জন্য জনসাধারণের মাঝে এমন দাবি জোরালো করতে হবে-“এন্টিবায়োটিক-ফ্রি মুরগি চাই, এন্টিবায়োটিক-ফ্রি মাছ চাই”। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে সামাজিক চাপ ও সচেতনতা তৈরি করাই রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলার অন্যতম কার্যকর উপায়। তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিষয়ে সচেতনতা শুধু একটি সপ্তাহে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বছরব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দিবসের মাধ্যমে ধারাবাহিক প্রচারণা চালাতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং যত তীব্র হচ্ছে, নতুন রোগের প্রকোপ ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকিও তত বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স—দুটি বৈশ্বিক সংকট পরস্পর গভীরভাবে সম্পর্কিত বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং বলেন,“এই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সমন্বিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন এফএও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জিয়াওকুন শি (Jiaoqun Shi), ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ, বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা (WOAH) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. হিরোফুমি কুগিটা (Dr. Hirofumi Kugita) (রেকর্ডেড), বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. খায়ের আহমেদ চৌধুরী ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (এক্সটেনশন) ডাঃ বেগম শামছুননাহার আহম্মদ।

প্রাণিসম্পদ খাতে এএমআর/এএমইউ’র বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো: শাহীনুর আরম, মানবস্বাস্থ্য খাতে এএমআর/এএমইউ’র বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি-তে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেনমেন্ট প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. সামছাদ রাব্বানি , মৎস্য খাতে এএমআর/এএমইউ’র বর্তমান পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: হাবিব ফরহাদ আলম।

এ সময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খামারি এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।