
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল , বিশেষ প্রতিনিধি
দুর্নীতি দমন কমিশনের -দুদক- চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, “আমরা নিজেরা যদি ঠিক না হই তাহলে অন্যদের কীভাবে ঠিক করবো? দুদকের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে আপনারা সেটি আমাদেরকে ধরিয়ে দিবেন, আমরা ব্যবস্থা নিবো।“
“রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ হবে স্বপ্নের বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে দুর্নীতি দমন কমিশন –দুদক- কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলার আয়োজনে এক গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন তিনি।
লালমনিরহাটে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার -২১ এপ্রিল- সকাল ৯ টায় লালমনিরহাট শুরু হওয়া এই গণশুনানি প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যাপী চলে।
দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ““শতভাগ লোকজন বলেন দুর্নীতি চাই না, তাহলে দুর্নীতি হয় কীভাবে? অনেক কর্মকর্তা আছেন যারা সৎ ও ভালো। কিন্তু তারা ঠিকমতো কাজ করেন না। এটিও কাম্য নয়। ডঃ ইউনুসের সরকার একটি দুর্নীতিমুক্ত সরকার। বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ লেনদেন হতো বলে জেনেছি। দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।”
ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে সকল কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সেবা গ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “ বেশ কয়েকটি গণশুনানিতে যাওয়ার পর আমার একটা বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর তা হচ্ছে আমাদের যেই সমস্যাগুলো আছে সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি না। আমরা চাইলেই সেই সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি।”
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার মিয়া মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী ও লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।
এই গণশুনানিতে লালমনিরহাট জেলার ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ১০৬টি অভিযোগের শুনানি হয়। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবাগ্রহীতারা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন বা এখনও হচ্ছেন সেগুলো গণশুনানিতে সেবাদাতাদের সম্মুখে উপস্থাপন করেন। গণশুনানিতে উত্থাপিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সেবাদাতাদের সেগুলো দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।