
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত আইজিপিকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
প্রত্যাহার ও বরখাস্তের তালিকা:
• মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, পুলিশ সুপার, কিশোরগঞ্জ (প্রত্যাহার)
• একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইমিগ্রেশন বিভাগ (প্রত্যাহার)
• মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কিশোরগঞ্জ সদর থানা (সাময়িক বরখাস্ত)
• একজন কর্মকর্তা, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) (সাময়িক বরখাস্ত)
কীভাবে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি?
সরকার পতনের নয় মাস পর, বুধবার (৭ মে) রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে গোপনে দেশ ছাড়েন আবদুল হামিদ। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, তিনি সাধারণ যাত্রীর ছদ্মবেশে রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। তার মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ থাকায় সহজে তাকে চেনা যায়নি। ইমিগ্রেশন চেকিং শেষে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “আমরা জানতাম তিনি মামলার আসামি, কিন্তু আদালত বা দুদকের পক্ষ থেকে কোনো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল না। চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়টি তিনি দেখিয়েছেন।”
মামলার পটভূমি
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় আবদুল হামিদসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা অভিযুক্ত হন। মামলাটি রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হওয়ায় বিষয়টি ঘিরে সারা দেশে আলোচনার ঝড় উঠে।
সরকার ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবো, না হলে আমরাই দায়িত্ব ছাড়বো।” এমন মন্তব্যে প্রশাসনের ভেতরে ও বাইরে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।