
এম. শাহাবুদ্দিন,
৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর থেকে জগদ্দল পাথর নেমে গেছে। পতিত সরকারের স্বৈরাচার খুনি হাসিনা প্রান ভয়ে সেদিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার অনেক দোসর এখানো এদেশে ঘাপটি মেরে বসে আছে। অনেকেই বিএনপি সেজে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যারা মিশে গেছে তাদেরকে প্রত্যাখান করার আহŸান জানান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। তিনি রোববার বিকেলে পবা উপজেলা হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে হরিয়ান সুগারমিল সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জনগণকে দুর্ভিক্ষের বকল থেকে বাঁচাতে এবং তলাবিহিন ঝুড়ি থেকে দেশকে উত্তোরণের জন্য কৃষির উপরে জোর দিয়েছিলেন। এতেই দেশের অবস্থা উন্নতির দিকে ধাবিত হয়। তাঁর মধ্যে ছিলো কঠোর ষততা। তাঁকে মানুষ বিশ^াস করতেন সততার জন্যই। কারন তিনি কোনদিন দুর্নীতি করেননি। জিয়া ছিলেন একজন গ্রেট ফিলোসুপার। কারন তিনি জানতেন দেশ প্রেমিক হতে হলে কি করতে হবে। তিনি বাকশাল থেকে দেশকে মুক্ত করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগকে বাংলাদেশে পুণরায় রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলেই পতিত সরকারের খুনি হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে স্বৈরাচার জেনারেল হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারকে বিতারিত করতে বেগম খালেদা জিয়া রান্না ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সে সময়ে পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সাথে ছিলো। কিন্তু ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলাম জোট করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। সেই থেকে তারা দেশবাসীর নিকট জাতীয় বেইমান হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পরে নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়ে সংসদে আসে। সেখানে জামায়াতে ইসলামীও ছিলো। কিন্তু মেয়াদের শেষের দিকে যেয়ে আবারও আওয়ামীলীগ, জামাত ও জাতীয় পার্টি এক হয়ে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। জামায়াত সর্বদা যে থালে খায় সেই থালই ফুটা করে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ বৃদ্ধিসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। আগামীতে ক্ষমতায় আসলে আবারও দেশ পুনর্গঠনে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেয়ার আহŸান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র আহŸায়ক মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব বাদশা মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আনসার আলী,পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপি’র সদস্য সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহŸায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম মাস্টার, সদস্য গোলাম মুজাহিদ, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রমজান আলী, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান, রজব আলী ও যুগ্ম আহŸায়ক আসাদুজ্জামাস বাবু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহŸায়ক শিহাব উদ্দিন, সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সাহেব জাদা, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলা শাখার আহŸায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, পবা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক সোহেল রানা, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ছোট মোস্তাক, পবা উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান। এছাড়াও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযেগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।