জামালপুর প্রতিনিধি ।।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ ব্যক্তিকে ৩০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ দণ্ডাদেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও ফরিদ মিয়া সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে আবাদি জমি বিনষ্ট হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা। ক্ষতিগ্রস্তরা মৌখিকভাবে বারণ করলেও তারা তা মানেননি। একপর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা বালু উত্তোলনকারী ওই চক্রের দুটি বালু ভর্তি ট্রলার আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আরো একটি ট্রলারসহ তিনজনকে আটক করে।
একইদিন বিকেলে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে নেওয়া হলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদ্দাম হোসেন আটককৃতদের ৩০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডাদেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন, ভুয়াপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩০), মহিউদ্দিনের ছেলে জুয়েল মিয়া (৩২) ও বাচ্চু ফকিরের ছেলে তাশারফ আলী (৩০)। পরে নদী থেকে আর কখনো বালু উত্তোলন না করার শর্তে ট্রলার তিনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনকারী চক্রের সদস্য ফরিদ মিয়া বলেন, জমির মালিকরা টাকা নিয়ে মাটি বিক্রি করে। সে মাটি নদী থেকে উত্তোলন করা হয়। তাছাড়া মাটিগুলো পার্শ্ববর্তী কাজীপুর এলাকার নদীর অংশ থেকে উত্তোলন করা হয়।
বালু উত্তোলনকারী চক্রের আরেক সদস্য পিংনা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যারা আমাদের ট্রলার আটকিয়েছে তারা ডাঙ্গায় আমাদের সাথে পেরে উঠছে না। তাই তারা পানিতে এসে বালু উত্তোলন বন্ধ করে আমার ব্যবসা নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন জানান,বালু উত্তোলনকারীদের মধ্যে তিন জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে নেওয়া হয়। আদালত তাদেরকে ৩০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডাদেশ দিয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে তিন ব্যক্তিকে ৩০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।