তিতাস- কুমিল্লা- প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় বসতঘর থেকে এক নারী এবং তার ছেলে ও ভাতিজির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার ঘাগুটিয়া গ্রামের ভুইয়া বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাহফুজা আক্তার -৩৫- তার ছেলে সাদ -৯- স্বামীর ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা মনি -১৬-। নিহত তিশা মনি দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। স্থানীয়রা জানান- বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের মো. শাহপরান ঢাকায় একটি চাকরি করেন- এবং সেখানেই তিনি থাকেন।তার স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে একা থাকতেন- সেই সুবাদে শাহপরানের ফুফাতো ভাই রেজাউল করিমের ছোট মেয়ে তাইফা সিনহা মিম -১৫- বহুদিন যাবত চাচির সাথে রাতে থাকতেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে বড় মেয়ে তিশা তার চাচির রাতে ঘুমাতে শুরু করলেন। এরপর গতকাল বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা ঘুমিয়ে ছিল। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশের সুরতহাল অনুযায়ী- প্রাথমিক তথ্যে তাদের মাথায় ও মুখে জখম পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে স্থানীয় পুলিশ,সেনাবাহিনী ও কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার -ক্রাইম- ঘটনাস্থলে আসেন। এদিকে- উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম জানান- মৃত হোসেন মিয়ার পুত্রবধূ মাহফুজা রাতে একা থাকায় তিশা মনিকে নিয়ে একসাথে রাত্রীযাপনের জন্য নিয়ে যায়। আজ সকালে তিশাকে নাস্তা খাওয়ার জন্য ছোট মেয়েকে বলি ডেকে আনতে। পরে শুনি মিম দরজা খুলতে না পেরে আশে পাশের লোকজনকে ডাক দিলে দরজা খুলে দেখে তিনজনের মৃতদেহ। আমি এই হত্যাকন্ডের সঠিক বিচার চাই।নিহত মাহফুজা বেগমের স্বামী শাহপরান জানান- আমি ঢাকায় থাকি। আমার স্ত্রী বাড়িতে থাকে।
আমি বাড়ি না থাকলে মাঝে মধ্যে আমার দুই ভাতিজি তিশা মনি ও মিম রাতে আমার বাড়িতে থাকে। আজ সকালে খবর পেয়ে বাড়িতে আসছি। আমার সাথে কারও কোন শত্রুতা নেই। সঠিত তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর বিচার চাই। স্থানীয়দের বরাতে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- জয়নাল আবেদিন সাংবাদিককে জানান- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। যে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেটির সামনের দরজা বন্ধ ছিল। কিন্তু পেছনের দরজা খোলা ছিল। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে মৃত্যুর কারণ কি।