মোঃ মনির মন্ডল- সাভার।।
চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাভার উপজেলা ও আশুলিয়া উলামা পরিষদ। এ সময় ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন আলেমরা।
শুক্রবার -২৯ নভেম্বর- জুমার নামাজের পর সাভার মডেল মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিমুলতলা তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্থানীয়দের সহায়তায় আতাউর রহমান -২৪- নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওই যুবকের হাতে একটি ছুরি ও বাম হাতে সুতা পরিহিত অবস্থায় পাওয়া যায়। আটককৃত আতাউর রহমান গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মাদারি পাড়া গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
আশুলিয়ার বাইপাইল মোর এলাকায় উলামা পরিষদের ব্যানারে মিছিল হয়েছে। এ সময় হাজার হাজার ওলামা পরিষদ ও মুসল্লীরা সাথে ছিলেন।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক -তদন্ত- আশিক ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান- আতাউর রহমানের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশটি সাভার উপজেলা উলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ হায়দার কাসেমীর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আলী আজম সভাপতিত্ব করেন।
এসময় বক্তব্য দেন সাভার উপজেলা উলামা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরদার- সহ-সভাপতি মাওলানা মামুন অর রশিদ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আলী আকরাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি সুলতান মাহমুদ- মুফতি ইকবাল ও মাওলানা নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় ‘জঙ্গি জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী, ইসকন জঙ্গি- এক দুই তিন চার- ইসকন তুই দেশ ছাড়- অ্যাকশন অ্যাকশন- ডাইরেক্ট অ্যাকশন- আমার সোনার বাংলায়- উগ্রবাদের ঠাঁই নাই- ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলমানসহ সব ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লির ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই উদ্দেশ্যেই চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
আন্দোলনকারীরা আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি, ইসকন নিষিদ্ধ করা, ইসকনের অর্থের উৎস অনুসন্ধান ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী এ সংগঠনটির লক্ষ্যই হলো দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এখন দেশকে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই। সেইসাথে আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার উলামা পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাউসার হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেনসহ সাভার উপজেলা উলামা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা। এতে প্রায় এক হাজারের অধিক সাধারণ মুসল্লি অংশ নেয়।