অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টার।।
নরসিংদীর পলাশে শৈত্য প্রবাহে নিম্ন আয়ের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে শীত আর কুয়াশায় উপেক্ষা করে মানুষ কাজের সন্ধানে বের হচ্ছে । দিন মজুর, রিক্সা চালক অটো রিকশা চালক ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
আজ মঙলবার রাতে পাঁচদোনা মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আজ ভোরে পলাশে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
পলাশে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি চলছে। দিনভর হিমেল বাতাসের জন্য হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে দিনমজুররা কাজ করতে পারছে না। বৃদ্ধ রিকশা চালকরা সারাদিন রিকশা চালিয়ে বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত রোগে ভোগছেন।
সন্ধ্যা নামার আগেই অন্ধকার নেমে আসে। তীব্র ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের লোকজন। ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলেছেন তারা। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন অনেকেই।
ভোর থেকে কুয়াশা থাকায় ঢাকা – সিলেট, নরসিংদী – মহাখালী সড়কে যানবাহানগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এই শীতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে শিশু-বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ শীতে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।