
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ অবৈধ পদোন্নতির জন্য দেয়া রায়ের প্রতিবাদ এবং ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের।
২৩ মার্চ “রবিবার” দুপুরে ভকেশনাল মোড় এলাকায় আল-স্বাদ রেস্টুরেন্টের সামনে লালমনিরহাট থেকে পাটগ্রামগামী সড়কে অবস্থান নেন তারা। ফলে রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর হটাও, কারিগরি শিক্ষা বাঁচাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি আয়োজন করেন লালমনিরহাট আইডিয়াল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হল- ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর টেকনোলজি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ডিপ্লোমা পাশ হতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সকল পদে কারিগরি শিক্ষা নিয়েছে এমন জনবল নিয়োগ করতে হবে, কারিগরি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের জন্য সকল বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা পাশ শিক্ষার্থীদের চাকুরির আবেদন করার সুযোগ থাকতে হবে ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পদে প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, “আমাদেরকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের যে শাখা আছে আমাদেরকে নিয়মিতভাবে ঠকানো হচ্ছে। আমরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিখছি কিন্তু আমাদের চেয়ে যারা ইন্টার শিখছে তারা ২ বছর পরেই ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যাচ্ছে। আমরা ৪ বছর কষ্ট করে পড়েও কোন ফ্যাসিলিটি পাচ্ছিনা। তাদের অধীনে আমাদের কাজ করানো হচ্ছে। আমরাতো টাকা দিয়ে পড়াশুনা করছি। এই বৈষম্য কেন? আমরা আমাদের অধিকার চাচ্ছি। যেটা আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। টানা ৪ বছর কষ্ট করে পড়ালেখা করে এতো কষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ার হই। আর ২ বছর পড়ালেখা করে ৩ মাসের কোর্স করে তারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের কি মূল্য থাকলো? প্রতি বছর ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা ব্যয় করে পড়ালেখা শেষ করে আমরা কি করবো? মা-বাবাদের কি খাওয়াবো? আমরা এখানে আরও ২ ঘণ্টা অবস্থান করবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো।”