Dhaka , Friday, 14 March 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আ. লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার  ইসলামী ছাত্র মজলিস নোবিপ্রবি শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত  পূরবী বাসের চাপায় অটোরিক্সার চালক ও ভাই-বোনসহ নিহত ৩ চন্দনাইশে বাসের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষার্থী ভাই-বোনসহ নিহত ৩ দুর্গাপুরে শুরু হচ্ছে হিফজুল কোরআন হামদ নাত ও আজান প্রতিযোগিতা গুলি করে যুবককে হত্যা, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যুবদল নেতা গ্রেপ্তার লালমনিরহাটে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ গুজব ছড়িয়ে ভাঙচুর চালানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেব– পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে দেশব্যাপী নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন চট্টগ্রামে ৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াবে চসিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন জাজিরায় কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে অভিযোগ  রামগঞ্জে বিদ্যালয়ে না গিয়েই বেতন নিচ্ছেন লামনগর একাডেমির শিক্ষিকা ঠাকুরগাঁও থেকে চুরি যাওয়া শিশু গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪  ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে কলেজ ছাত্রীকে হেনেস্তা, শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি জাজিরায় কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে অভিযোগ  সারাদেশে শিশুধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের প্রতিবাদে খেলাঘরের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিটির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা সম্পন্ন সাতকানিয়ায় পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালন ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা পিরোজপুরে ধর্ষণ ও শাহবাগীদের অরাজকতার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল পিরোজপুরে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্ত্যক্তের অভিযোগে যুবক আটক লালমনিরহাটে গুঁড়িয়ে দেয়া হল বিএনপি নেতার অবৈধ ইটভাটা   সাতকানিয়ায় বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট  অভিযান- ৫ ব্যবসায়ীকে ৯৬হাজার টাকা জরিমানা পলাতক মোংলার সেই মালেক ফকির গ্রেফতার রূপগঞ্জে জোড়া হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বারি মসুর ৮- সংরক্ষণে হার্মেটিক সাইলো ব্যবহার শীর্ষক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পাইকগাছায় ৯ দফা বাস্তবায়নে এসএফডিএফ’র অবস্থান কর্মসূচি পালন

রূপগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কে এম সফিউল্লাহ বীরউত্তম আর নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:46:50 pm, Sunday, 26 January 2025
  • 24 বার পড়া হয়েছে

রূপগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কে এম সফিউল্লাহ বীরউত্তম আর নেই

মোঃ আবু কাওছার মিঠু, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলাদেশের প্রথম ও সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য, ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধ কালীন এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন।
 ২৬জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে -সিএমএইচ- চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 
জানা গছে, ১৯৩৪সালের ২সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।  ১৯৫০ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে পড়া অবস্থাতেই যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৫৫ সালে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালে ডিফেন্স স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি করেন। তিনি স্কুল অব ইনফেন্টিতে প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৭০ সালে পদোন্নতি পেয়ে আবার ব্যাটেলিয়নে ফিরে আসেন কেএম সফিউল্লাহ। 
১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন। তাঁর খেতাবের সনদ নম্বর দুই। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার। পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা এস ফোর্সের প্রধান হন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে কেএম সফিউল্লাহ ছিলেন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কেএম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৩নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন কেএম সফিউল্লাহর। তাঁর অধীনে থাকা ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ। মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর মাসে তাঁর নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় এস ফোর্স। এই ফোর্সের অধীনে ছিল দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ১১নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। কেএম সফিউল্লাহর নির্দেশে ও নেতৃত্বে অসংখ্য দুর্ধর্ষ ও সফল অপারেশন পরিচালিত হয়। তিনি এসব অপারেশনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
কেএম সফিউল্লাহর পরিকল্পনায় সিলেটের একাংশ, আশুগঞ্জ, ভৈরব ও মাধবপুর হানাদারমুক্ত হয়। তাঁর নেতৃত্বে হানাদারমুক্ত হয় আশুগঞ্জ, ভৈরব, লালপুর, আজবপুর, সরাইল, শাহবাজপুর, মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর। 
৬ডিসেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে কেএম সফিউল্লাহ আশুগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর এক জেসিও প্রায় লাফিয়ে কেএম সফিউল্লাহকে জাপটে ধরে তীব্র ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে কেএম সফিউল্লাহকে লক্ষ্য করে তিনি স্টেনগানের ট্রিগার চাপেন। এসময় কেএম সফিউল্লাহর কোমরে বাঁধা পিস্তলে গুলি লাগে। কেএম সফিউল্লাহর জেসিওর মাথায় কয়েক দফা আঘাত করতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান জেসিও। কেএম সফিউল্লাহ রাইফেল নিয়ে তাদের গুলি করতে গিয়ে দেখেন রাইফেল ভাঙা। কোমরে থাকা পিস্তলও বিধ্বস্ত। এ সময় কেএম সফিউল্লাহ কচুরিপানা আর কাদাপানিতে ডুবে প্রাণে বেঁচে যান। 
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেএম সফিউল্লাহ। ১৯৭৩ সালের তিনি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে আসলে তাঁকে ১ বছরের জন্য ওএসডি করে রাখা হয়। ১৯৯২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে জান। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
 ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩সালে রূপগঞ্জ গ্রামে তাঁর পিতার নামানুসারে কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আ. লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

রূপগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল(অব:) কে এম সফিউল্লাহ বীরউত্তম আর নেই

আপডেট সময় : 12:46:50 pm, Sunday, 26 January 2025
মোঃ আবু কাওছার মিঠু, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলাদেশের প্রথম ও সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক সংসদ সদস্য, ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধ কালীন এস ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জেনারেল(অব:) কেএম সফিউল্লাহ বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন।
 ২৬জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে -সিএমএইচ- চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 
জানা গছে, ১৯৩৪সালের ২সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।  ১৯৫০ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে পড়া অবস্থাতেই যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৫৫ সালে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালে ডিফেন্স স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি করেন। তিনি স্কুল অব ইনফেন্টিতে প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৭০ সালে পদোন্নতি পেয়ে আবার ব্যাটেলিয়নে ফিরে আসেন কেএম সফিউল্লাহ। 
১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন। তাঁর খেতাবের সনদ নম্বর দুই। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন ৩নম্বর সেক্টর কমান্ডার। পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি করা এস ফোর্সের প্রধান হন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে কেএম সফিউল্লাহ ছিলেন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কেএম সফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৩নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন কেএম সফিউল্লাহর। তাঁর অধীনে থাকা ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ। মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর মাসে তাঁর নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় এস ফোর্স। এই ফোর্সের অধীনে ছিল দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ১১নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। কেএম সফিউল্লাহর নির্দেশে ও নেতৃত্বে অসংখ্য দুর্ধর্ষ ও সফল অপারেশন পরিচালিত হয়। তিনি এসব অপারেশনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
কেএম সফিউল্লাহর পরিকল্পনায় সিলেটের একাংশ, আশুগঞ্জ, ভৈরব ও মাধবপুর হানাদারমুক্ত হয়। তাঁর নেতৃত্বে হানাদারমুক্ত হয় আশুগঞ্জ, ভৈরব, লালপুর, আজবপুর, সরাইল, শাহবাজপুর, মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর। 
৬ডিসেম্বর হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে কেএম সফিউল্লাহ আশুগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর এক জেসিও প্রায় লাফিয়ে কেএম সফিউল্লাহকে জাপটে ধরে তীব্র ধস্তাধস্তি করেন। একপর্যায়ে কেএম সফিউল্লাহকে লক্ষ্য করে তিনি স্টেনগানের ট্রিগার চাপেন। এসময় কেএম সফিউল্লাহর কোমরে বাঁধা পিস্তলে গুলি লাগে। কেএম সফিউল্লাহর জেসিওর মাথায় কয়েক দফা আঘাত করতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান জেসিও। কেএম সফিউল্লাহ রাইফেল নিয়ে তাদের গুলি করতে গিয়ে দেখেন রাইফেল ভাঙা। কোমরে থাকা পিস্তলও বিধ্বস্ত। এ সময় কেএম সফিউল্লাহ কচুরিপানা আর কাদাপানিতে ডুবে প্রাণে বেঁচে যান। 
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেএম সফিউল্লাহ। ১৯৭৩ সালের তিনি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর মেজর জেনারেল পদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে আসলে তাঁকে ১ বছরের জন্য ওএসডি করে রাখা হয়। ১৯৯২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে জান। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
 ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩সালে রূপগঞ্জ গ্রামে তাঁর পিতার নামানুসারে কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন।