Dhaka , Thursday, 10 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নোয়াখালীতে বেড়েছে পানি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ সুন্দরগঞ্জে ডিলার নিয়োগের অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ সুন্দরগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ঝালকাঠিতে মা ও ছেলের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপন করলেন কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঝলক  কথাসাহত্যিক তুলতুলের মুক্তিযোদ্ধা বাবা আর নেই তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার টেকনাফে পানিবন্দি শতাধিক পরিবারের মাঝে ‘নাফ বৃহত্তর কওমি ছাত্র সংগঠন’-এর শুকনো খাবার বিতরণ ঢাকার জুরাইনে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ম্যাগজিন- সহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতার বক্সপপ এফটিপিতে ৯ জুলাই তারিখে দেওয়া আছে। মহুরী নদীর পানি বাড়তে থাকায় নোয়াখালীতে বন্যার আশঙ্কা পাবনার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে তীব্র নদী ভাঙনে আতঙ্কে ফেরিঘাটের বাসিন্দারা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি’র পরিচালক হলেন কবি পরাগ রিছিল  চন্দনাইশের দোহাজারীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ পাবনায় মোবাইলে মেয়ের সঙ্গে কথা বলায় বিএনপির দু’গ্রুপের গুলিবর্ষণ, আহত ১৫ ঢাকার ক্লুলেস খোকন হত্যাকাণ্ড: দুই বছর পর গাইবান্ধায় ধরা পড়ল আসামি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে-ধর্ম উপদেষ্টা মোদি সরকারের নীতির প্রতিবাদে ভারত বন্‌ধ ফেনীতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত, ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ বাড়ল মেহেরপুরে জুলাই পদযাত্রায় এনসিপি নেতৃবৃন্দ বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিল ছেলে কালিয়াকৈরে অজ্ঞাত যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি  প্রদান পাইকগাছায় অস্ত্র, ককটেল ও মাদকদ্রব্য সহ আটক-৩ দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছার অভাবে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হচ্ছে না!   ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী টুটুলের সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা র‍্যাব-১৩ এর অভিযানে হাতীবান্ধার মাদক ব্যবসায়ী মক্কু গ্রেপ্তার সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সুধিজনদের মিলনমেলা দাবি মোদের একটাই আনোয়ার ভাইকে প্রার্থী চাই” পাবনা-৩ এ কোন প্রার্থীর মনোনয়নই চূড়ান্ত হয়নি: সাবেক এমপি আনোয়ার 

বেদনা দও ৫০ বছর পর বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পেয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:39:28 pm, Thursday, 11 May 2023
  • 251 বার পড়া হয়েছে

অরবিন্দ রায়

স্টাফ রির্পোটার।।

 

নরসিংদীর পলাশের বেদনা দত্ত ৫০ বছর পর বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৫০টি বছর যার খোঁজ কেউ নেয়নি, সেই বেদনা দত্তই পেয়েছে বীরাঙ্গনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ১৯৭১ সালে দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য নারী। বিজয়ের ৫০ বছরে বেদনাকে দেওয়া হয় বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি। স্বীকৃতি পেয়ে খুশি বেদনা দত্তসহ তার প্রতিবেশীরা।
বেদনা দত্তের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বরিবাড়ি এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তিবাহিনীদের রান্না করে খাওয়াতেন, তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। ঐ সময় জিনারদী বরিবাড়ি রেল ব্রিজের নিচে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ছিলো। ক্যাম্পে থাকা সিরাজ নামে এক রাজাকারের চোখ পড়ে বিধবা বেদনা দত্তের উপর। ঘরে ছোট্ট তিনটি শিশু সন্তান তার উপর আবার ইজ্জতের কথা চিন্তা করে তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বেদনাকে তুলে দেওয়া হয় পাকিস্তানিদের হাতে। নরপশুরা তাকে ৩দিন ক্যাম্পে রেখে পাশবিক নির্যাতন করে। পরে মৃত ভেবে জঙ্গলে ফেলে দেয়। অবশেষে ৪দিন পর কৌশলে বাড়ি ফেরেন তিনি। গ্রাম্য চিকিৎসকের সহায়তায় কিছুটা সুস্থ হয়ে অবহেলা, বঞ্চনা আর লোক লজ্জায় সন্তানদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান বেদনা। শরীরের বিভিন্ন অংশে, কপালে ও মুখে আজও ক্ষতচিহ্ন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বেদনা দত্ত জানান, দীর্ঘদিন পর নিজ বাড়িতে এসে বীরাঙ্গনার মেয়ে হওয়ায় জোসনা দত্তকে বিয়ে দিতে পারেননি। যার ফলে মেয়েটি আজ পাগল প্রায়। বাড়িতে এসে অন্যের বাড়িতে কাজ করে ও লতা-পাতা খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সম্প্রতি সরকারিভাবে প্রাপ্ত ভিজিডি চালই তার একমাত্র ভরসা।

বেদনা দত্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের সুপারিশক্রমে সরকার বেদনা দত্তকে বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেটভুক্ত করেন। বিজয় দিবসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর হলেও তাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বেদনা দত্ত। যেই বেদনা দত্ত দেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য সাহায্য করতে গিয়ে এত নির্যাতন সহ্য করেছেন তাকে যেন পূর্ণ মর্যাদা দান করা হয়। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেছেন। বিল থেকে লতাপাতা এনে খেয়ে দিন পার করেছেন। তিনি আজ বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশী এলাকাবাসী।
জিনারদী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান উদ্দিন পাঠান জানান, বেদনা দত্ত যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও বিভিন্ন কারণে তাকে যথা সময়ে তালিকাভুক্ত করতে না পারা লজ্জাজনক। তবে যেহেতু তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তার জন্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
স্থানীয় জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গাজী বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা আগে আমরা জানতাম না, যখনই জেনেছি তখনই তাকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চালের কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সার্বিক সহায়তা করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর হলেও বেদনা দত্তকে বিজয় দিবসে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দিতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ করেন।
পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, বেদনা দত্তকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে আবারো প্রমাণ হলো এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মৃক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন। আর এ বেদনা দত্তকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

নোয়াখালীতে বেড়েছে পানি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ

বেদনা দও ৫০ বছর পর বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পেয়েছে

আপডেট সময় : 07:39:28 pm, Thursday, 11 May 2023

অরবিন্দ রায়

স্টাফ রির্পোটার।।

 

নরসিংদীর পলাশের বেদনা দত্ত ৫০ বছর পর বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৫০টি বছর যার খোঁজ কেউ নেয়নি, সেই বেদনা দত্তই পেয়েছে বীরাঙ্গনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ১৯৭১ সালে দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য নারী। বিজয়ের ৫০ বছরে বেদনাকে দেওয়া হয় বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি। স্বীকৃতি পেয়ে খুশি বেদনা দত্তসহ তার প্রতিবেশীরা।
বেদনা দত্তের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বরিবাড়ি এলাকায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তিবাহিনীদের রান্না করে খাওয়াতেন, তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করতেন। ঐ সময় জিনারদী বরিবাড়ি রেল ব্রিজের নিচে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প ছিলো। ক্যাম্পে থাকা সিরাজ নামে এক রাজাকারের চোখ পড়ে বিধবা বেদনা দত্তের উপর। ঘরে ছোট্ট তিনটি শিশু সন্তান তার উপর আবার ইজ্জতের কথা চিন্তা করে তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বেদনাকে তুলে দেওয়া হয় পাকিস্তানিদের হাতে। নরপশুরা তাকে ৩দিন ক্যাম্পে রেখে পাশবিক নির্যাতন করে। পরে মৃত ভেবে জঙ্গলে ফেলে দেয়। অবশেষে ৪দিন পর কৌশলে বাড়ি ফেরেন তিনি। গ্রাম্য চিকিৎসকের সহায়তায় কিছুটা সুস্থ হয়ে অবহেলা, বঞ্চনা আর লোক লজ্জায় সন্তানদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান বেদনা। শরীরের বিভিন্ন অংশে, কপালে ও মুখে আজও ক্ষতচিহ্ন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বেদনা দত্ত জানান, দীর্ঘদিন পর নিজ বাড়িতে এসে বীরাঙ্গনার মেয়ে হওয়ায় জোসনা দত্তকে বিয়ে দিতে পারেননি। যার ফলে মেয়েটি আজ পাগল প্রায়। বাড়িতে এসে অন্যের বাড়িতে কাজ করে ও লতা-পাতা খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সম্প্রতি সরকারিভাবে প্রাপ্ত ভিজিডি চালই তার একমাত্র ভরসা।

বেদনা দত্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের সুপারিশক্রমে সরকার বেদনা দত্তকে বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেটভুক্ত করেন। বিজয় দিবসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর হলেও তাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বেদনা দত্ত। যেই বেদনা দত্ত দেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য সাহায্য করতে গিয়ে এত নির্যাতন সহ্য করেছেন তাকে যেন পূর্ণ মর্যাদা দান করা হয়। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেছেন। বিল থেকে লতাপাতা এনে খেয়ে দিন পার করেছেন। তিনি আজ বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশী এলাকাবাসী।
জিনারদী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান উদ্দিন পাঠান জানান, বেদনা দত্ত যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও বিভিন্ন কারণে তাকে যথা সময়ে তালিকাভুক্ত করতে না পারা লজ্জাজনক। তবে যেহেতু তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তার জন্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
স্থানীয় জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গাজী বলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা আগে আমরা জানতাম না, যখনই জেনেছি তখনই তাকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চালের কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সার্বিক সহায়তা করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর হলেও বেদনা দত্তকে বিজয় দিবসে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দিতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ করেন।
পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, বেদনা দত্তকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে আবারো প্রমাণ হলো এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মৃক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন। আর এ বেদনা দত্তকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি