মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
বিদেশি পণ্য বর্জন ও স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা হাটে গণহত্যা সংঘটিত হয়। যুবনেতা মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে সলঙ্গা এলাকায় আন্দোলনরত জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ব্রিটিশ পুলিশ। নিহত হন কয়েক শ মানুষ।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে হারিয়ে যাওয়ার পথে উপজেলার ঐতিহাসিক সলঙ্গা হাটও। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের দখলে হাটের জায়গা সংকুচিত হতে হতে এখন যানবাহন প্রবেশ করার রাস্তাও নেই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমনও কমে গেছে। ফলে, লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা। তবে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা হাটের রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগিশের নেতৃত্বে এই সলঙ্গা হাট থেকেই পূর্ববঙ্গে বিলেতি পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সূচনা হয়। প্রাণ হারায় সলঙ্গার অসংখ্য মানুষ।
কিছু দখলদারদের কারণে ঐতিহ্যবাহী হাটটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। স্থানীয় প্রশাসনের জরিপ মতে হাটে জায়গার পরিমান ৭.৭৯ একর। তবে স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে জায়গা রয়েছে আড়াই থেকে তিন একর। নানা সময়ে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা নিজেদের মতো করে দখল করে নিয়েছে হাটের জায়গা।
কয়েক বছর আগেও সলঙ্গাহাটের ইজারা মূল্য ছিলো দেড় থেকে দু’কোটি টাকা। কিন্তু জায়গা কমে যাওয়ায় ইজারাও কমে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি আর স্থানীয় নেতাদের আহ্বানেও দখলদার উচ্ছেদে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তবে শিগগিরই দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঐতিহাসিক সলঙ্গাহাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা