Dhaka , Saturday, 12 October 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দেবহাটায় ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।। দেবহাটার উন্নয়নে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর দরদির স্মারকলিপি প্রদান।। তিতাসে যৌতুকলোভী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ওসমান গ্রেপ্তার।। পূজামণ্ডপসমূহে ২৪ ঘন্টা সামাজিক  দায়িত্ব পালন করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।। সাতক্ষীরায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রয়েছে- উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।। তিতাসের বলরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন।। পাইকগাছায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত।। অটোমেশন ভর্তি প্রক্রিয়ায় পবিপ্রবি।। দেশ থেকে অনেক টাকা পাচার হয়ে গেছে- জ্বালানি উপদেষ্টা।। নোয়াখালীতে থানায় অগ্নিসংযোগ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা গ্রেপ্তার-৩।। সুরমা নদী খননের নামে হরিলুট- নেপথ্যে করা।। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে নীলফামারীতে সাথী সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। র‌্যাব-৭ এর অধিনায়কের চট্টগ্রাম শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময়।। রাজশাহীর জেলা পরিষদের প্রশাসকের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন।। শাকসবজি মাছ মাংসের বাজারে স্বস্তি নামবে কবে- সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে সবকিছু।। রাবির আইবিএ’র পরিচালক হলেন ড. মো. শরিফুল ইসলাম।। পোনাবালিয়া ইউনিয়নের হাজরাগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মরহুম শিক্ষকদের স্মরণে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।। রামগঞ্জে শ্রমিকলীগ সভাপতি লেদু মাল ও কাউন্সিলর সুফিয়ানসহ আটক ৪।। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন- মামুনুল হক।। হাটহাজারীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে ডিআইজি।। নারায়ণগঞ্জ হাজীগঞ্জ খেয়াঘাটে নদী দূষণ ও দখল নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর কান্না নামক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।। ঠাকুরগাঁও ২ টাকায় চা-নাস্তা বিক্রি করেন নুর ইসলাম।। দেবহাটার পারুলিয়া যুব বিভাগের উদ্যোগে আন্তঃওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা।। লালপুরে অস্ত্রের মুখে ইজিবাইক ছিনতাই পাগলপ্রায় চালক।। চট্টগ্রামে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন’র সাথে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক।। জলঢাকা ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামীয়া স্কুলের হলরুমে গণঅধিকার পরিষদের গণ সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। মোংলায় পুজা মন্দির পরিদর্শনে বিএনপি নেতা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।। চিকিৎসার অভাবে শরীরে ৮টি গুলি নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের সুজন।। কোষ্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক-১।।

গরু নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দু’দফা সংঘর্ষে ২০ জন আহত।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:00:24 pm, Sunday, 29 September 2024
  • 9 বার পড়া হয়েছে

গরু নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দু’দফা সংঘর্ষে ২০ জন  আহত।।

মোঃ আব্দুল আল খান
কেন্দুয়া -নেত্রকোনা।।
চোরাই গরু সন্দেহে প্রতিবাদের জের ধরে কেন্দুয়া উপজেলার ৬নং সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা ও সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের 
লোকদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। 
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে ও শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজার ও সাহিতপুর গ্রামে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, তার মেয়ের জামাই পিপুল- পেড়ী গ্রামের সিরাজের মামাতো ভাই রাইছুন ও সান্দিকোনা গ্রামের তার বড় 
বোন রেজিয়া আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে চেংজানা গ্রামের শাহিন- নবালী-
মিলন, হৃদয়, সোহেল ও রাসেলকেও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য 
কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার বিকেলে সরেজমিনে গেলে সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা ঋতু আক্তার জানান, আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গরু নিয়ে একটি ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা ও 
সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের লোকদের মধ্যে মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে চেংজানা গ্রামের শাহিন আহত হয়। এরই জের ধরে 
রোববার সকাল অনুমান ১১ টার দিকে চেংজানা গ্রামের ৪/৫শ লোক বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে 
হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। আমার বাবা সিরাজুল ইসলামকে বাঁচানোর জন্য আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই কিন্তু চেংজানা 
গ্রামের লোকজন বসত ঘরের এক পাশের টিনের বেড়া কেটে ঘরে 
প্রবেশ করে আমার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা নারীদের গায়েও 
হাত তুলে। ঘরের মধ্যে সুকেস থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার এবং গোয়াল ঘর থেকে ৫টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। হামলা কারীরা 
সাহিতপুর গ্রামের আরোও ৩টি বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঋতু আক্তার এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। এদিকে চেংজানা গ্রামের সোহেল মিয়া (সাহিতপুর বাজারের ইজারাদার জানান ৯টি চোরাই গরু সন্দেহে আমরা প্রতিবাদ 
করেছি। গরুগুলো বাজারে উঠালেও ক্রয়, বিক্রয়ের কোন রশিদ ছিলনা। পেড়ী গ্রামের হাদিস মিয়ার বাড়িতে এই গরুগুলি নিয়ে যায়। এর 
প্রতিবাদ জানালে সাহিতপুর ও পেড়ী গ্রামের লোকজন এক হয়েশনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা গ্রাম বাসীর উপর 
অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল হেকিমের ছেলে শাহিন মিয়া 
গুরুতর আহত হয়। আমরা বাজার থেকে দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচি। রাতে এ ঘটনা সারাগ্রামে জানাজানি হলে রোববার সকালেই দুই 
গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চেংজানা গ্রামের সামছু মিয়া বলেন- সাহিতপুর গ্রামে সিরাজ বা অন্য কারোও বাড়িতে আমরা 
কোন হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করিনি। তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। 
তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের ঘর ভেঙ্গে আমাদেরকে দায়ী করছেন। 
আমরাও এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। সাহিতপুর বাজারের 
ব্যবসায়ীরা জানান, রোববার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে 
সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। 
সেনাসদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাদিস মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে 
নিয়ে আসলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । কেন্দুয়া 
থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি- মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় 
এখনও কোন মামলা হয়নি বা কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আইন 
শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের টহল 
চলছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দেবহাটায় ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।।

গরু নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দু’দফা সংঘর্ষে ২০ জন আহত।।

আপডেট সময় : 02:00:24 pm, Sunday, 29 September 2024
মোঃ আব্দুল আল খান
কেন্দুয়া -নেত্রকোনা।।
চোরাই গরু সন্দেহে প্রতিবাদের জের ধরে কেন্দুয়া উপজেলার ৬নং সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা ও সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের 
লোকদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। 
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে ও শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজার ও সাহিতপুর গ্রামে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, তার মেয়ের জামাই পিপুল- পেড়ী গ্রামের সিরাজের মামাতো ভাই রাইছুন ও সান্দিকোনা গ্রামের তার বড় 
বোন রেজিয়া আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে চেংজানা গ্রামের শাহিন- নবালী-
মিলন, হৃদয়, সোহেল ও রাসেলকেও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য 
কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার বিকেলে সরেজমিনে গেলে সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা ঋতু আক্তার জানান, আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গরু নিয়ে একটি ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা ও 
সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের লোকদের মধ্যে মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে চেংজানা গ্রামের শাহিন আহত হয়। এরই জের ধরে 
রোববার সকাল অনুমান ১১ টার দিকে চেংজানা গ্রামের ৪/৫শ লোক বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে 
হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। আমার বাবা সিরাজুল ইসলামকে বাঁচানোর জন্য আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই কিন্তু চেংজানা 
গ্রামের লোকজন বসত ঘরের এক পাশের টিনের বেড়া কেটে ঘরে 
প্রবেশ করে আমার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা নারীদের গায়েও 
হাত তুলে। ঘরের মধ্যে সুকেস থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার এবং গোয়াল ঘর থেকে ৫টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। হামলা কারীরা 
সাহিতপুর গ্রামের আরোও ৩টি বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঋতু আক্তার এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। এদিকে চেংজানা গ্রামের সোহেল মিয়া (সাহিতপুর বাজারের ইজারাদার জানান ৯টি চোরাই গরু সন্দেহে আমরা প্রতিবাদ 
করেছি। গরুগুলো বাজারে উঠালেও ক্রয়, বিক্রয়ের কোন রশিদ ছিলনা। পেড়ী গ্রামের হাদিস মিয়ার বাড়িতে এই গরুগুলি নিয়ে যায়। এর 
প্রতিবাদ জানালে সাহিতপুর ও পেড়ী গ্রামের লোকজন এক হয়েশনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা গ্রাম বাসীর উপর 
অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল হেকিমের ছেলে শাহিন মিয়া 
গুরুতর আহত হয়। আমরা বাজার থেকে দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচি। রাতে এ ঘটনা সারাগ্রামে জানাজানি হলে রোববার সকালেই দুই 
গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চেংজানা গ্রামের সামছু মিয়া বলেন- সাহিতপুর গ্রামে সিরাজ বা অন্য কারোও বাড়িতে আমরা 
কোন হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করিনি। তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। 
তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের ঘর ভেঙ্গে আমাদেরকে দায়ী করছেন। 
আমরাও এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। সাহিতপুর বাজারের 
ব্যবসায়ীরা জানান, রোববার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে 
সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। 
সেনাসদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাদিস মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে 
নিয়ে আসলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । কেন্দুয়া 
থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি- মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় 
এখনও কোন মামলা হয়নি বা কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আইন 
শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের টহল 
চলছে।