Dhaka , Thursday, 13 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রাজনীতির মাধ্যমে নয়, আওলিয়াদের দাওয়াতে ইসলাম এসেছে: পীর ছাহেব ছারছীনা। গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ গাজীপুরে তিন মহাসড়কে তিন বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা পাইকগাছায় বিএনপি প্রার্থী বাপ্পীর পক্ষে লিফলেট বিতরণ পাইকগাছায় উপকূল দিবস পালিত : জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে আলোচনা সভা টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ! র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে কলেজছাত্র উদ্ধার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, তিনবিঘা করিডোরে বাংলাদেশী আটক শ্রীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক) মধুপুর উপজেলা শাখার কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীসহ ৭ জন আটক সাবরেজিস্ট্রার সপ্তাহে (১) দিন অফিসে,সেবা নিতে ভোগান্তিতে চরভদ্রাসনের মানুষ। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের সঙ্গে জেলা সাইবার ইউজার দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ যৌতুক, ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ” বিষয়ে একটি শিক্ষা ও সচেনতা সভা অসচ্ছল-মেধাবীদের জন্য ‘শিক্ষা সারথি’ তহবিল গঠন নিয়ে মতবিনিময় সভা নারায়ণগঞ্জে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস উদযাপন ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি প্রতিহত করতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল উখিয়াতে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা গ্রেফতার রূপগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লুট রূপগঞ্জে ছাত্রলীগের সাত নেতা গ্রেফতার বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কানাডার সংসদীয় প্রতিনিধি দল মাইলস্টোন দুর্ঘটনা: সাড়ে তিন মাস পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল যমজ শিশু সায়রা ও সায়মা ফতুল্লায় বিএনপি’র একাংশের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ পি. এম. গার্মেন্টসের শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ও বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার কন্ডিশন বিষয়ক ইন্টারপ্রেনিয়র সামিটে ছাত্রদলের হামলায় অনুষ্ঠান পণ্ড রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের অবৈধ লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে প্রতিহত করার ঘোষণা বিএনপির রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত, বাংলাদেশ থেকে হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার জন দক্ষিণ রূপকানিয়ায় ডিফেন্ডার্স অব বাংলাদেশের উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক দুই দিনব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুত ও বিপণন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কালের বিবর্তনে জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:59:52 pm, Sunday, 21 September 2025
  • 410 বার পড়া হয়েছে

অরবিন্দ রায়,

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। শাপলা ফুল সংরক্ষণের ব্যবস্হা না করলে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে জাতীয় ফুল শাপলা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক জাতীয় ফুল শাপলা। এক সময় গ্রাম বাংলার খালে- বিলে, ঝিলে, হাওরে, নিচু জমি সহ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রাকৃতিক ভাবে শাপলা জন্ম নিত। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়ন,  বাড়ি ঘর তৈরী করা।  খাল বিলে জমি বাধ দিয়ে মাছের খামার তৈরি করা। ফসলি জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহ বিভিন্ন কারনে শাপলার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া। খাল- বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়া। আগের মত বর্ষার পানি না হওয়া। জমিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধির কারনে স্বাভাবিকভাবেই পাপলা জন্মানোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শাপলা শুধু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল নয়, বর্ষাকালে শাপলা বিক্রি করে দেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা হয়।  শাপলা প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্ষার পানিতে বেড়ে উঠে। শাপলা কোন ধরনের যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয় না। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্হা উন্নতির কারনে  গ্রামাঞ্চল থেকে শহর ও রাজধানীর  বাজারগুলোতে শাপলা  সহজে পৌঁছানো যায়।
দেশের বিভিন্ন বিল, খাল জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে পাপলা পাওয়া যায়। এ সব বিল থেকে নারী ও দিন মজুর  মানুষ শাপলা সংগ্রহ করে স্হানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি পাইকাররা শাপলা কিনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। ৮ থেকে ১০টি শাপলা দিয়ে একটি আঁটি বাধা হয়। প্রতিটি আঁটি শাপলা গ্রামাঞ্চলে ৬ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি করা হয়। সেই শাপলা শহরাঞ্চলে ২০/ ৩০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
শাপলার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।শাপলা  সাধারণ লাল ও সাদা হয়ে থাকে।  শাপলা বিক্রি করে যে আয় হয় সেই টাকা দিয়ে অনেকেই সংসারে চালাচ্ছেন। শাপলা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তরকারি হিসেবে খেতেও  সুস্বাদু । শাপলার দাম কম হওয়ায় নিম্ন বিত্তদের কাছে চাহিদা বেশি। শাপলা খেতে সুস্বাদু হওয়ায় ধনী মানুষেরা খেয়ে থাকে। শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা এখন মজাদার  তরকারি খাবার হিসেবে  মানুষ খাচ্ছে।
আদুরী রাজবংশী জানান, খুব সকালে বিল থেকে শাপলা সংগ্রহ করে স্হানীয় বাজারে ও ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। এতে তাদের প্রতিদিন ৫/ ৬ শত টাকস আয় হয়।
গোলয়া গ্রামের কিশোর কুমার রায় জানান,
আগের দিনে  বর্ষাকালে বিলে প্রচুর পরিমানে শাপলা পাওয়া যেত। এখন বিলগুলোতে আগের মত শাপলা পাওয়া যায় না।
বিমলা রাজবংশী (৭০) জানান, আমার বয়স হয়েছে। আমি বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকি। শাপলা বিক্রি করে প্রতিদিন ২/৩ টাকা শাপলা বিক্রি করে পাই। আমি সাঁতার জানি না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন জীবিকার জন্য কাজ করি।
বিমলা জানান, বর্ষাকালে তারা শাপলা তুলে বাজারে  বিক্রি করে। অন্য সময় তারা মাটি কেটে সংসার চালায়।
 বর্ষা মৌসুমে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের কাজ কম থাকে। দেশের কৃষক, যুবক ও অন্যান্য পেশার মানুষ বেকার থাকে এ তারা শাপলা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়।   পুষ্টিগুণ  সমৃদ্ধ শাপলা একদিকে যেমন সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে অন্যদিকে বর্ষাকালে কাজ না থাকায় বেকার  ও  শ্রমজীবীদের আয়ের পথ তৈরী করে দিচ্ছে।

ড. চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, শাপলা মানুষের পুষ্টির পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। শাপলা বিল থেকে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে দেশের  অনেক  মানুষ তাদের সংসারে চাহিদা পুরন করছেন।

শাপলা আষাঢ় মাস থেকে শুরু করে প্রায়  কার্তিক মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।  প্রাকৃতিক ভাবেই বিল, খাল, পুকুর ও জলাশয়ে শাপলা জন্মে। প্রতি ১০০গ্রাম শাপলা লতায় ৩১ গ্রাম শর্করা, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা মানব দেহের জন্য উপকারি সবজি।
শাপলা সংগ্রহ করতে কোন পূজির প্রয়োজন হয় না। বর্ষা মৌসুমে শাপলা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে গ্রামের বাজার, উপজেলার বাজার, জেলা শহরের বাজার ছেড়ে রাজধানীর বাজারেও শাপলা পাওয়া যায়। শাপলা সংরক্ষণ করা ও বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে শাপলা থেকেই প্রতিবছর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে  অভিজ্ঞরা  মনে করেন। সেই সাথে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা সংরক্ষনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনীতির মাধ্যমে নয়, আওলিয়াদের দাওয়াতে ইসলাম এসেছে: পীর ছাহেব ছারছীনা।

কালের বিবর্তনে জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাচ্ছে

আপডেট সময় : 05:59:52 pm, Sunday, 21 September 2025

অরবিন্দ রায়,

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। শাপলা ফুল সংরক্ষণের ব্যবস্হা না করলে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে জাতীয় ফুল শাপলা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক জাতীয় ফুল শাপলা। এক সময় গ্রাম বাংলার খালে- বিলে, ঝিলে, হাওরে, নিচু জমি সহ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রাকৃতিক ভাবে শাপলা জন্ম নিত। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলাশয় ভরাট করে অপরিকল্পিত নগরায়ন,  বাড়ি ঘর তৈরী করা।  খাল বিলে জমি বাধ দিয়ে মাছের খামার তৈরি করা। ফসলি জমিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহ বিভিন্ন কারনে শাপলার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া। খাল- বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়া। আগের মত বর্ষার পানি না হওয়া। জমিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধির কারনে স্বাভাবিকভাবেই পাপলা জন্মানোর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শাপলা শুধু বাংলাদেশের জাতীয় ফুল নয়, বর্ষাকালে শাপলা বিক্রি করে দেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা হয়।  শাপলা প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্ষার পানিতে বেড়ে উঠে। শাপলা কোন ধরনের যত্ন ও পরিচর্যা করতে হয় না। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্হা উন্নতির কারনে  গ্রামাঞ্চল থেকে শহর ও রাজধানীর  বাজারগুলোতে শাপলা  সহজে পৌঁছানো যায়।
দেশের বিভিন্ন বিল, খাল জলাভূমিতে প্রচুর পরিমাণে পাপলা পাওয়া যায়। এ সব বিল থেকে নারী ও দিন মজুর  মানুষ শাপলা সংগ্রহ করে স্হানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি পাইকাররা শাপলা কিনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। ৮ থেকে ১০টি শাপলা দিয়ে একটি আঁটি বাধা হয়। প্রতিটি আঁটি শাপলা গ্রামাঞ্চলে ৬ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি করা হয়। সেই শাপলা শহরাঞ্চলে ২০/ ৩০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
শাপলার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।শাপলা  সাধারণ লাল ও সাদা হয়ে থাকে।  শাপলা বিক্রি করে যে আয় হয় সেই টাকা দিয়ে অনেকেই সংসারে চালাচ্ছেন। শাপলা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তরকারি হিসেবে খেতেও  সুস্বাদু । শাপলার দাম কম হওয়ায় নিম্ন বিত্তদের কাছে চাহিদা বেশি। শাপলা খেতে সুস্বাদু হওয়ায় ধনী মানুষেরা খেয়ে থাকে। শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা এখন মজাদার  তরকারি খাবার হিসেবে  মানুষ খাচ্ছে।
আদুরী রাজবংশী জানান, খুব সকালে বিল থেকে শাপলা সংগ্রহ করে স্হানীয় বাজারে ও ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। এতে তাদের প্রতিদিন ৫/ ৬ শত টাকস আয় হয়।
গোলয়া গ্রামের কিশোর কুমার রায় জানান,
আগের দিনে  বর্ষাকালে বিলে প্রচুর পরিমানে শাপলা পাওয়া যেত। এখন বিলগুলোতে আগের মত শাপলা পাওয়া যায় না।
বিমলা রাজবংশী (৭০) জানান, আমার বয়স হয়েছে। আমি বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকি। শাপলা বিক্রি করে প্রতিদিন ২/৩ টাকা শাপলা বিক্রি করে পাই। আমি সাঁতার জানি না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন জীবিকার জন্য কাজ করি।
বিমলা জানান, বর্ষাকালে তারা শাপলা তুলে বাজারে  বিক্রি করে। অন্য সময় তারা মাটি কেটে সংসার চালায়।
 বর্ষা মৌসুমে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের কাজ কম থাকে। দেশের কৃষক, যুবক ও অন্যান্য পেশার মানুষ বেকার থাকে এ তারা শাপলা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়।   পুষ্টিগুণ  সমৃদ্ধ শাপলা একদিকে যেমন সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে অন্যদিকে বর্ষাকালে কাজ না থাকায় বেকার  ও  শ্রমজীবীদের আয়ের পথ তৈরী করে দিচ্ছে।

ড. চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, শাপলা মানুষের পুষ্টির পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। শাপলা বিল থেকে সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে দেশের  অনেক  মানুষ তাদের সংসারে চাহিদা পুরন করছেন।

শাপলা আষাঢ় মাস থেকে শুরু করে প্রায়  কার্তিক মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়।  প্রাকৃতিক ভাবেই বিল, খাল, পুকুর ও জলাশয়ে শাপলা জন্মে। প্রতি ১০০গ্রাম শাপলা লতায় ৩১ গ্রাম শর্করা, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা মানব দেহের জন্য উপকারি সবজি।
শাপলা সংগ্রহ করতে কোন পূজির প্রয়োজন হয় না। বর্ষা মৌসুমে শাপলা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে গ্রামের বাজার, উপজেলার বাজার, জেলা শহরের বাজার ছেড়ে রাজধানীর বাজারেও শাপলা পাওয়া যায়। শাপলা সংরক্ষণ করা ও বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে শাপলা থেকেই প্রতিবছর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে  অভিজ্ঞরা  মনে করেন। সেই সাথে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা সংরক্ষনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।