তৌহিদ বেলাল।।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এনজিও কর্মকর্তা চম্পা চাকমা হত্যায় অভিযুক্ত এনামুল হক গ্রেপ্তার হয়েছেন। সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল এগারোটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রামস্থ র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাহবুবর রহমান।
গ্রেপ্তার এনামুল হক (২৭) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া গ্রামের নুরুজ্জামানের পুত্র। খুন হওয়া চম্পা চাকমা (২৮) রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি ‘পদক্ষেপ’ নামে একটি এনজিওর রাঙ্গুনিয়া শাখার সহকারি ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ব্রিফিংকালে র্যাব অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান জানান- অভিযুক্ত এনামুল হক এনজিও পদক্ষেপ থেকে প্রথমে তার মায়ের নামে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। ৪০ কিস্তিতে ওই টাকা পরিশোধের পর বোনের নামে নেন আরো এক লক্ষ। এই টাকার শেষ ৬ কিস্তি বাকি ছিলো। এই টাকা পরিশোধ নিয়ে এনামুলের সঙ্গে এনজিও কর্মকর্তা চম্পা চাকমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে রাঙ্গুনিয়ার ধামাইরহাট এলাকায় পদক্ষেপ এনজিও কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন ঋণগ্রহিতা এনামুল হক। এসময় অফিস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে চম্পার সঙ্গে এনামুলের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় এনামুল তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে চম্পার গলায় আঘাত করেন। পরে চম্পাকে তার সহকর্মী ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান আরো জানান, এই ঘটনার পর ঘাতক এনামুল হক দুদিন রাঙ্গামাটিতে ও কয়েকদিন চট্টগ্রামে অবস্থান করেন। পরে সিলেটে গিয়ে শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে থাকেন তিনদিন। এরপর সেখানকার জৈন্তাপুর উপজেলার এক হোটেলে কাজ নেন।
ব্রিফিংকালে র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন।