Dhaka , Saturday, 13 September 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রূপগঞ্জের চুরি করতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু কালিয়াকৈরে মানসিক অসুস্থ্য আকলিমা (৩৪) ১২ দিন যাবত নিখোজ, পিতা- মাতা উদ্বিগ্ন নোয়াখালীতে ৪২৫ কচ্ছপ উদ্ধার রূপগঞ্জে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির কনফারেন্স অনুষ্ঠিত আওয়ামী স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে : ড. মঈন খান আ.লীগ দেশের শতশত কোটি টাকা লুটপাট করেছে  :  ড. মঈন খান শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না জাবি সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার, বাড়িতে শোকের মাতম জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার – হাসান হাফিজুর গাজীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ৪৭ জন, নাম ঘোষণার পর আবেগে আপ্লুত উত্তীর্নরা  কাউখালীতে ইভটিজিং করার অপরাধে এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত মুড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযান: ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অস্ত্র উদ্ধার ৪৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত দুর্গাপুরের কৃতি সন্তান ডা. মিজানুর রহমান,এলাকায় আনন্দের ঢেউ মেধার ভিত্তিতে ১৭ জনের চাকরি, নিয়োগ পেলেন দিনমজুরের সন্তানরাও রূপগঞ্জে কোরআন প্রতিযোগিতা ও শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ চোখের আলো ফিরে পাওয়া রোগীদের মাঝে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিনামুল্যে চশমা বিতরণ জুলাই চেতনা বাস্তব জীবনে প্রতিফলনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে — জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি রামগঞ্জে আলোচিত জামায়াত নেতা হত্যার মূল আসামি কামাল গ্রেফতার নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তরুণের মৃত্যু,আহত-১ বেতাগী জামায়াতে সেক্রেটারির বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি-যৌথ বাহিনী তদন্ত  তিতাসে দুই শত পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার চৌমুহনীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা এক যুবকের মৃত্যু  হাতিয়ায় নদী ভাঙন রোধকল্পে ফেলা বালিভর্তি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ, স্থানীয়দের বিক্ষোভ পাবনায় চাঁদা না দেয়ায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাড়িতে যুবদল নেতার হামলা, গুলিবিদ্ধ দুই  বিএনপি নেতা  দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা এলাকায় মিজান-রায়হান আতঙ্কে,দল ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা  ঝালকাঠিতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ মেধায় চাকরি পেল ৯ জন, অপেক্ষমান ২ জন ঝালকাঠি আদালতে যুবককে চাকুর কোপ, গুরুতর আহত রূপগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি   ৮ বিঘা জমি দখলে এসিআই সল্ট, নীরব প্রশাসন ৮ লাখ মানুষের চারজন চিকিৎসক, বেহাল স্বাস্থ্যসেবা মধুপুরে ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ

রেডিও বন্ধের আগে ঠিকঠাক গবেষণা কি হচ্ছে ?

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:16:21 pm, Monday, 2 January 2023
  • 314 বার পড়া হয়েছে

পর পর দুই বছরে দুটো সার্বজনিন হয়ে ওঠা রেডিও বন্ধ করে দেয়া হলো। একটি হচ্ছে বিবিসি বাংলার রেডিও সার্ভিস এবং ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা রেডিও। তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সত্য প্রাপ্তির বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। সাংবাদিক হিসাবে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি আরও বেশি। সে প্রসঙ্গ এখন নয়। আরেকদিন বলা যাবে। এখন ভিন্ন কথা। বন্ধ করে দেয়ার কারণ হিসাবে দুটি প্রতিষ্ঠানই প্রায় একই রকম কথা বলছে। ভার্টুয়াল দুনিয়ায় দিন শেষে কোন তথ্য পাওয়ার জন্যে মানুষ বসে থাকছে না। যে কারণে রেডিওর শ্রোতা কমে গেছে। এনিয়ে নানা পরিসংখ্যানও তারা দিয়েছে।

শ্রোতা কমে যাওয়ার সঙ্গে এই ভার্টুয়াল দুনিয়া থেকে আগে তথ্য পাওয়ার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। একটি দীর্ঘ ধারাক্রম বন্ধের যুক্তি হিসাবে এটি খুব বোকা বোকা। তাই আমি কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। কর্তৃপক্ষতো বটেই মিডিয়া বিশ্লেষকরা একটু আমলে নিতে পারেন প্রশ্নগুলো। কারণ প্রতিষ্ঠান দুটি বাণিজ্যিক নয়। দুটিই দুটি বড় অর্থনীতির দেশের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানই আমাদের সমাজে ৫০ বছরের বেশি সময় কাজ করছে। এদেশের মানুষের অনেকেই তো একে বিদেশি প্রতিষ্ঠান মনে করা ভুুলেই গিয়েছিল। এরকম অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধের পর মনে পড়েছে এটি আমাদের নয়।

যাই হোক আমার প্রশ্নগুলো করি। প্রথমত ভার্টুয়ালি আমরা সারাদিন যত তথ্য পাই সেটা কতটুকু নির্ভরযোগ্য? তথ্য জানার মাধ্যম হিসাবে শ্রুতি মাধ্যমটিতো অনেক কার্যকরী। শুধু শুনতে পারা মানুষ এর সেবায় আসতে পারেন। এরজন্যে আলাদা সময় বের করতে হয় না। তাহলে কেন মানুষ রেডিও শুনছে না? আমার দেশের কত জন জেলে বা কৃষক ভাই অ্যানরয়েড ফোন হাতে ঘুরছেন? রেডিও বলে যে যন্ত্রটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ছিল কেন সেগুলো নেই? সেগুলোকি হঠাৎ করেই বিলুপ্ত হলো? এযন্ত্র ওইযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত না করে খুব সহজ রেডিও বাজারে আনা যেতো না? সহজ রেডিও কাছে না থাকার কারণে মানুষ রেডিও থেকে বিচ্যুত হলো কি না, এনিয়ে কি গবেষণা হয়েছে? আমি এসব জানি না। তবে জানার চেষ্টা করা উচিত বলে আমার ব্যক্তিগত মত।

শব্দ তরঙ্গ ধরার তার বিহীন যে প্রযুক্তি, সেটা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা শেষ মনে হচ্ছে। তাই ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের ভিড়ে আমরা বড় একটি সম্ভাবনা বন্ধ করে দিচ্ছি। সেই ডামাডোলে ভাসলো বাংলাদেশের মানুষের ভালো মন্দের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময় থাকা দুটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অথচ রেডিও প্রযুক্তিকে ভুল বোঝার দু্র্দিনে তারাই সবল ভুমিকা রাখতে পারতেন।

গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় মানুষ সম্পৃক্ত হওয়ার আলাদা আলাদা কারণ আছে। গণমাধ্যমের প্রথম লক্ষ্য তথ্য জানানো হলেও আরো কয়েকটি লক্ষ্যের কথা বলেন দেশ বিদেশের ঝানু অ্যাকাডেমিশানরা। একটু ভালো করে বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে এই লক্ষ্যগুলোর প্রতেকটিই সমাজে দরকার। যেকারণে কোনটাই কোনটার পরিপূরক নয়।

সাংবাদিক
পলাশ আহসান

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জের চুরি করতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু

রেডিও বন্ধের আগে ঠিকঠাক গবেষণা কি হচ্ছে ?

আপডেট সময় : 11:16:21 pm, Monday, 2 January 2023

পর পর দুই বছরে দুটো সার্বজনিন হয়ে ওঠা রেডিও বন্ধ করে দেয়া হলো। একটি হচ্ছে বিবিসি বাংলার রেডিও সার্ভিস এবং ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা রেডিও। তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সত্য প্রাপ্তির বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল। সাংবাদিক হিসাবে এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি আরও বেশি। সে প্রসঙ্গ এখন নয়। আরেকদিন বলা যাবে। এখন ভিন্ন কথা। বন্ধ করে দেয়ার কারণ হিসাবে দুটি প্রতিষ্ঠানই প্রায় একই রকম কথা বলছে। ভার্টুয়াল দুনিয়ায় দিন শেষে কোন তথ্য পাওয়ার জন্যে মানুষ বসে থাকছে না। যে কারণে রেডিওর শ্রোতা কমে গেছে। এনিয়ে নানা পরিসংখ্যানও তারা দিয়েছে।

শ্রোতা কমে যাওয়ার সঙ্গে এই ভার্টুয়াল দুনিয়া থেকে আগে তথ্য পাওয়ার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। একটি দীর্ঘ ধারাক্রম বন্ধের যুক্তি হিসাবে এটি খুব বোকা বোকা। তাই আমি কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। কর্তৃপক্ষতো বটেই মিডিয়া বিশ্লেষকরা একটু আমলে নিতে পারেন প্রশ্নগুলো। কারণ প্রতিষ্ঠান দুটি বাণিজ্যিক নয়। দুটিই দুটি বড় অর্থনীতির দেশের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। দুটি প্রতিষ্ঠানই আমাদের সমাজে ৫০ বছরের বেশি সময় কাজ করছে। এদেশের মানুষের অনেকেই তো একে বিদেশি প্রতিষ্ঠান মনে করা ভুুলেই গিয়েছিল। এরকম অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধের পর মনে পড়েছে এটি আমাদের নয়।

যাই হোক আমার প্রশ্নগুলো করি। প্রথমত ভার্টুয়ালি আমরা সারাদিন যত তথ্য পাই সেটা কতটুকু নির্ভরযোগ্য? তথ্য জানার মাধ্যম হিসাবে শ্রুতি মাধ্যমটিতো অনেক কার্যকরী। শুধু শুনতে পারা মানুষ এর সেবায় আসতে পারেন। এরজন্যে আলাদা সময় বের করতে হয় না। তাহলে কেন মানুষ রেডিও শুনছে না? আমার দেশের কত জন জেলে বা কৃষক ভাই অ্যানরয়েড ফোন হাতে ঘুরছেন? রেডিও বলে যে যন্ত্রটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ছিল কেন সেগুলো নেই? সেগুলোকি হঠাৎ করেই বিলুপ্ত হলো? এযন্ত্র ওইযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত না করে খুব সহজ রেডিও বাজারে আনা যেতো না? সহজ রেডিও কাছে না থাকার কারণে মানুষ রেডিও থেকে বিচ্যুত হলো কি না, এনিয়ে কি গবেষণা হয়েছে? আমি এসব জানি না। তবে জানার চেষ্টা করা উচিত বলে আমার ব্যক্তিগত মত।

শব্দ তরঙ্গ ধরার তার বিহীন যে প্রযুক্তি, সেটা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা শেষ মনে হচ্ছে। তাই ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের ভিড়ে আমরা বড় একটি সম্ভাবনা বন্ধ করে দিচ্ছি। সেই ডামাডোলে ভাসলো বাংলাদেশের মানুষের ভালো মন্দের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময় থাকা দুটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অথচ রেডিও প্রযুক্তিকে ভুল বোঝার দু্র্দিনে তারাই সবল ভুমিকা রাখতে পারতেন।

গণমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় মানুষ সম্পৃক্ত হওয়ার আলাদা আলাদা কারণ আছে। গণমাধ্যমের প্রথম লক্ষ্য তথ্য জানানো হলেও আরো কয়েকটি লক্ষ্যের কথা বলেন দেশ বিদেশের ঝানু অ্যাকাডেমিশানরা। একটু ভালো করে বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে এই লক্ষ্যগুলোর প্রতেকটিই সমাজে দরকার। যেকারণে কোনটাই কোনটার পরিপূরক নয়।

সাংবাদিক
পলাশ আহসান