তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে মসজিদভিত্তিক শিশু এবং গণশিক্ষা কার্যক্রম এর ৮ম প্রকল্প শুরু করা, রমজানে মাসের মধ্যে বকেয়া ৩ মাসের বেতন দেয়া, বেতনবৃদ্ধি করার দাবিসহ মোট ৫ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন ও ডিসি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকবৃন্দ।
২০ মার্চ “বৃহস্পতিবার” সকালের দিকে শহরের মিশন মোড় চত্বরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। পরে তারা একত্রিত হয়ে মিশন মোড় থেকে একটি পদযাত্রা শুরু করেন। যা বিডিআর ক্যান্টিনের পাশ দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শিক্ষকরা ডিসি অফিসের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। অবস্থান কার্যক্রম শেষে তারা প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে লেখা একটি স্মারকলিপি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের “ডিসি” কাছে পেশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আমরা বিগত ৭ পর্যায়ে সন্তুষ্টজনক কাজ করে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছি। এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে বিভিন্ন মসজিদের ইমামবৃন্দ, বেকার যুবক ও নারী শিক্ষিকাবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিকতা দিয়ে নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার হয়েছে, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে, কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে, বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা সামজিক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। ধর্মমন্ত্রণালয়ে এখনও ফ্যাসিস্টদের দোসর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আছেন। তারাই এখন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু এবং গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের অনুমোদনের ক্ষেত্রে গড়িমসি করছেন। এখন কেন এই প্রকল্প আউটসোর্সিং এর আওতায় নেয়ার পাঁয়তারা চলছে? আমরা তা হতে দিবো না“
বক্তাদের দাবি , ৩ মাসের বকেয়া বেতন অনতিবিলম্বে দিতে হবে। এছাড়াও বেতন বৃদ্ধি করাসহ প্রকল্পটি চালু রাখতে হবে।
তারা জানান, লালমনিরহাটে ৯শ ৭৫ জন শিক্ষক এই দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দাবি মানা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবেন।
উল্লেখ্য, কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন মসজিদভিত্তিক শিশু এবং গণশিক্ষা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সমিতির লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮